লালমনিরহাটের প্রত্যেকটি বাড়ির উঠানে উঠানে এবং সরকারি, বে-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে শোভাবর্ধন করেছে জবা ফুল। এরুপ চিত্র লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভা জুড়ে।
জবা একটি অতি সুন্দর ও খুবই আকর্ষণীয় ফুল গাছ। এ জবা ফুল গোলাপি, সাদা, লাল, হলুদসহ নানা রং ও বর্ণের হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায় জবা ফুলের। সাধারণত শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে কম আর বেশি প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনা কিংবা বাড়ির ছাদে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জবা ফুলগাছ লাগানো হয়ে থাকে। মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম এই জবা ফুল। জব ফুলের উৎপত্তি পূর্ব এশিয়ায়। ১৭৫৩ সালে বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস-এর নাম দেন "Hibiscus rosa-sinensis"। লাতিন শব্দে "rosa-sinensis"-এর অর্থ "চীন দেশের গোলাপ"। বাংলায় নাম রক্তজবা, জবা, জবা কুসুম বলা হয়ে থাকে।
জবা ফুলের বংশবিস্তার হয়ে থাকে শাখা কলমের মাধ্যমে। প্রায় সারা বছরই ফোটে এ জবা ফুল। গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে জবা ফুল থাকে। গাছের উচ্চতা প্রায় ৮ থেকে ১৬ ফুট। পাতাগুলো চকচকে সবুজ ও ফুলগুলো উজ্জ্বল এবং পাঁচটি পাপড়িযুক্ত। ফুলগুলোর ব্যাস গড়ে ৪ ইঞ্চি এবং গ্রীষ্ম ও শরৎকালে ফোটে। জবা ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই এর নিচের তাপমাত্রার অঞ্চলে জবাগাছ কাচের ঘরে জন্মে। ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ জবা ফুল। বিভিন্ন রোগের ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চোখ ওঠা দূর করতে জবাপাতার প্রলেপ দিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সর্দি ও কাশিতে জবা ফুল বেটে রস করে পানিতে মিশিয়ে খেলে রোগী সুস্থ্য হয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য জবাপাতার রস তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে উপকার হয়।
লালমনিরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের ছাত্র রিজভী আহমেদ সৌরভ বলেন, জবা ফুল গাছ আমাদের বাড়ির উঠানেও রয়েছে। জবা ফুল ফুটলে সবার দৃষ্টি কারে। সেই সাথে বাড়ির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.