:: হেলাল হোসেন কবির :: লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা খাতুনের নামে এবার আদালতে রায়ের তারিখ দিয়ে তার আগে রায় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আদালতে মামলার আদেশের দিন ধার্য করে তার প্রায় দুই মাস আগেই রায় দেয়ায় মিশ্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, লালমনিরহাটের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাটের বড়ুয়া মৌজার মৃত মহিম চন্দ্র বর্মনের ছেলে জিতেন্দ্র নার্থ বর্মন (৬৫) জনসাধারণ চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় তা উদ্ধারে জন্য একই এলাকার কমলা কান্ত বর্মনের ছেলে মুকুল চন্দ্র রায় (৬০)সহ আরও দুইজনের নামে একটি মামলা করেন।
৪৪৫/২৩ এর মামলাটির কয়েকটি তারিখ হাজিরার পর গত ৫ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা খাতুন আদালতে মামলি উঠে, সেই দিন পরবর্তী মামলার তারিখ ধার্য করেন ১ অক্টোবর। মামলার বাদীপক্ষ জিতেন্দ্র ও স্বাক্ষীগণ আদালতে ১ অক্টোবর হাজির হয়ে জানতে পায় ১৩ আগস্ট মামলায় রায় দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জিতেন্দ্র নার্থ বর্মন বলেন, জনসাধারণের হয়ে মামলা করলাম তারপর "বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেন, আর তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন ওরা অবৈধভাবে অবকাঠামো নির্মান পুর্বক দখলে আছে, জনসাধারণের চলাচলের জন্য অবৈধভাবে দখল রাস্তাটি উদ্ধারের জন্য সরকার পক্ষে জোড় ভাবে কাজ করছে", প্রতিবেদনে এমনটি বললেও আদালত মামলার তারিখ ধার্য করে আগাম রায় দিয়েছেন যা আমরা জানি না, আদালতের এমন বিষয় রহস্যময়।
বিচার পরিচালনায় এমর চিত্র দেখে আদালত পাড়ায় বিভিন্ন গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এ্যাড. বিধু ভূষন রায় সাবু বলেন, আদালত তার নিজ গতিতে চলে কিন্তু এবার অন্যকিছু দেখা গেল, যেখানে ৫ আগস্ট বিজ্ঞ বিচারক বললেন মামলা পরবর্তী তারিখ ১ অক্টোবর কিন্তু তার ৮দিন পর অর্থাৎ ১৩ আগস্ট মামলাটির রায় দিয়ে দিয়েছেন। বাদি পক্ষ ১ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে সারাদিন থাকলেও মামলা ডগে না উঠায় নথি খুঁজে দেখা যায় যে, বিজ্ঞ আদালত মামলা খারিজ করে দিয়েছেন ১৩ আগস্ট, বিষয়টি সম্পন্ন লুকানো রায় বলা যায়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিপি মুর্শেদা বেগম মানু'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নথি দেখে কথা বলতে হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা খাতুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন বলতে পারছিনা, টুকে নিচ্ছি খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো, তারপর বলেন বাদি পক্ষকে বা তার আইনজীবীকে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলবেন।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.