লালমনিরহাটে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশন করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় ৫/৬জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে তাদেরকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের দুইটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলফোনও ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ’র প্রতিবেদক জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, মাতৃভূমির খবরের প্রতিবেদক সাহিদ বাদশা বাবু, ভোরের আকাশের প্রতিবেদক নাজমুল ইসলামসহ ৫জন সাংবাদিক লালমনিহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ফকিরটারী গ্রামে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাহিদ বাদশা বাবু বলেন, সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ফকিরটারী গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশন করছে। এমন একটি তথ্যের তিত্তিতে আমরা ৪/৫জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যাই এবং অনশনরত মেয়েটির সাথে কথা বলার করি। মেয়েটির সাথে কথা বলতে যাওয়া মাত্রই প্রেমিক নিশাতের চাচা সার ব্যবসায়ী রশিদ ও নিশাতের বড় ভাই নাঈমসহ ৮/৯ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এ সময় আমরা সংবাদ কর্মী পরিচয় দিলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং মেয়েটির সাথে কথা বলতে যাওয়া মাত্রই প্রেমিক নিষেধের চাচার ব্যবসায়ী রশিদ ও নিষেধের বড় ভাই নাঈমস আট নয় জন দুই বিত্ত সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধিত করে এ সময় আমরা সংবাদকর্মীর পরিচয় দিলে তারা আরো দীপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আমাদের মোবাইলফোন কেড়ে নেওয়াসহ আমাদের মাঠধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এর কিছুক্ষণ পরে প্রেমিক নাঈমের চাচা রশিদসহ আরো কয়েকজন মেয়েটিকে বেধড়ক মারপিট করে। এরপর তারা মেয়েটিকে পাজাকোলা করে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইলে সাংবাদিকরা সেখানে ভিডিও করার চেষ্টা করে। এ সময় সাংবাদিকরা সেই দৃশ্যের ভিডিও করতে যাওয়া মাতারই দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের দুইটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলফোন কেরে নেয় এবং সাংবাদিকদের পথ রোধ করে মেয়েটিকে সেখান থেকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতের অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।