লালমনিরহাটে গভীর রাতে বেপরোয়া একটি মালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে প্রবেশ করে। এতে মাদ্রাসার দেয়াল ভেঙ্গে ঘুমন্ত ১২জন শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৩টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর হাড়ীভাঙ্গা তা’লিমুল ইনসান কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাত্রে মালামাল বিহীন ওই ট্রাকটি রংপুর থেকে লালমনিরহাট যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো পথে গিয়ে মাদ্রাসার দেয়ালে ধাক্কা খায়। পড়ে মাদ্রাসার দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে ভিতরে ঘুমন্ত শিক্ষার্থীদের শরিরে পড়ে ১২জন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত মুরসালিন (১২), নোমান (১১)সহ ৬জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তাদেরকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাড়ীভাঙ্গা তা’লিমুল ইনসান হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর প্রধান হাফেজ মোঃ নুর আলম সিদ্দিক জানায়, মহাসড়ক থেকে মাদ্রাসাটি ৫ফিট কাছে হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সড়ক ভবন কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা সামনের অংশে গাইড ওয়াল অথবা গার্ডার নির্মাণ করে দিলে ঝুঁকি কমবে।
মাদ্রাসা প্রধান মোঃ নুর আলম সিদ্দিক আরও জানান, মাদ্রাসা ৫তলা ভবনের ভিত্তি দেয়ার কাজ হয়েছে। কিন্তু অর্থের সংকটে কাজের গতি কম। স্থানীয় ও সরকারি ভাবে সহায়তার হাত বাড়ালে নতুন ভবনে শিক্ষার কার্যক্রম শুরু হলে ঝুঁকি কমবে।
মাদ্রাসা ছাত্রদের কয়েকজন সাথে কথা বললে তারা জানায়, মাদ্রাসাটি মহাসড়কের সাথে অবস্থিত হওয়ায় তারা সব সময় আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে থাকে। কর্তৃপক্ষ যেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের জানান, বেপরোয়া ট্র্যাকটি তাদের হেফাজতে আছে। তবে চালক ও সহকারী চালক পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাদ্রাসার আহত রোগীদের খোঁজ নিতে ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। সেই সাথে চিকিৎসা বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন মর্মে জানা গেছে।