শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষক

-মোঃ তৌহিদুল ইসলাম: শিক্ষকতা মূলত: আল্লাহরই কাজ। শিক্ষা, জ্ঞান, ও বুদ্ধির মূল উৎস হলেন মহান আল্লাহ। নবি ও রাসুলগণের মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষের কাছে শিক্ষা ও জ্ঞান পৌঁছে। আল্লাহ হতে প্রাপ্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের দ্বারা বুদ্ধির উম্মেষ ঘটে। এভাবে বিকশিত বুদ্ধি দ্বারা মানুষ গবেষণা করে আল্লাহর সৃষ্ঠির রাজ্যে লুকায়িত অনেক রহস্যের দ্বার উম্মোচিত হয়। অতএব আল্লাহ হতে প্রাপ্ত জ্ঞান বলেই মানুষ পৃথিবীকে সুশোভিত, সুসজ্জিত এবং সৌন্দর্যমন্ডিত করতে পেরেছে।

প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ)কে সমগ্র সৃষ্টিজগতের প্রতিনিধি রুপে সৃষ্টি করে সকল সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানের উদ্দেশ্য মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে সর্বোত্তম সিফাত ‘জ্ঞান’ দ্বারা গৌরবান্বিত ও মহিমান্বিত করেছেন। আল্লাহ পাক আদম (আঃ) কে জগতের সকল বিষয়ের নাম, বাহ্যিক পরিচয়, গোপন তাৎপর্য ও রহস্য শিক্ষা দিয়ে সমস্ত মাখলুকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। আল্লাহ তায়ালা সকল নবি ও রাসুলগণের প্রত্যক্ষ শিক্ষক। এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলছেন, “আর তিনি আদম কে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন এবং তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। সুতরাং বললেন, তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও। তারা বলল, আপনি পবিত্র, মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।” পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে “তিনিই উম্মিদের মাঝে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে, যে তাদের কাছে তেলওয়াত করে তাঁর আয়াত সমূহ, তাদেরকে পবিত্র করে এবং তাদেরকে শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত। যদিও তারা ইতোপূর্বে স্পষ্ট গোমরাহিতে ছিল।” মানুষ সৃষ্টির প্রাক্কালে মহান আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে বলেন, আর স্মরণ কর যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, নিশ্চয় আমি যমীনে একজন খলিফা সৃষ্টি করেছি।” (সুরা বাকারা)

আয়াতে বর্ণিত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে বিভিন্ন মত এসেছে। মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক বলেন, এর অর্থ স্থলাভিষিক্ত হওয়া। অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে সম্মোধন করে বলেছেন যে আমি তোমাদের ছাড়া এমন কিছু সৃষ্টি করতে যাচ্ছি যারা যুগ যুগ ধরে বংশানুক্রমে একে অপরের স্থলাভিষিক্ত হতে পারে। ইবনে জারীর বলেন, আয়াতের ব্যাখ্যা হচ্ছে আমি যমীনে আমার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে চাই যে আমার সৃষ্টিকুলের মধ্যে ইনসাফের সাথে আমার নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে। আর এ প্রতিনিধি হচ্ছে আদম এবং যারা আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে ইনসাফের সাথে তার বিধান প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হবে।

Oxford Advanced Learner Dictionary তে প্রতিনিধি বা’ representative’ বলতে এভাবে সঙ্গায়িত করা হয়েছে; A person who has been chosen to speak or work or vote for somebody else or on behalf of a group or a person.

অর্থাৎ, প্রতিনিধি বলতে কারো পক্ষ থেকে কথা বলা বা কাজ করা বা ভোট প্রদানের জন্য কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করা বা দায়িত্ব অর্পণ করা।

প্রাথমিক শিক্ষকরাই মূলতঃ আল্লাহর তায়ালার এই অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কারণ পবিত্র কুরআনের প্রথম নাজিলকৃত নির্দেশনামূলক শব্দ ‘ইকরা’ বা পড়। অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি মহান আল্লাহর প্রথম নির্দেশ ছিল ‘ইকরা’।

“এই কিতাব যা আমরা তোমার প্রতি নাজিল করেছি, যাতে তুমি মানুষকে তাদের রবের অনুমতিক্রমে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আন, পরাক্রমশালী সর্বপ্রশংসিতের দিকে।”

তিনি যাকে চান প্রজ্ঞা দান করেন। আর যাকে প্রজ্ঞা দেয়া হয়, তাকে অনেক কল্যাণ দেয়া হয়। আর বিবেকসম্পন্নগণই উপদেশ গ্রহণ করে।”

“(পরম করুনাময়) তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনি তাকে শিখিয়েছেন ভাষা”। ( সুরা আর রহমান)

শিক্ষকগণ মানুষ গড়ার কারিগর। একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে ওঠার পেছ নে বাবা মায়ের চেয়ে শিক্ষকের অবদান কোনো অংশে কম নয়। মহান আল্লাহ শিক্ষকদেরকে আলাদা সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন। ফলে মুসলিম সমাজে শিক্ষক মাত্রই বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী। শিক্ষাকে যাবতীয় উন্নয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করলে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। বলতে গেলে এর কোন বিকল্প নেই।

পবিত্র কুরআনে নাযিলকৃত প্রথম আয়াতে জ্ঞানার্জন ও শিক্ষাসংক্রান্তের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, পড়, তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একবিন্দু জমাট রক্ত থেকে। পড়, আর আর তোমার প্রতিপালক পরম সম্মানিত। যিনি কলমের দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে তা শিক্ষা দিয়েছেন।

শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ও শিষ্টাচার: সমাজে শিক্ষকদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখার ঐতিহ্য ও রীতি বেশ প্রাচীন। শিক্ষা অনুযায়ী মানবচরিত্র ও কর্মের সমন্বয় সাধনই হচ্ছে মহানবি (সা:) এর তাগিত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে জ্ঞানার্জন করে এবং তা অন্যকে শিক্ষা দেয়।

জায়েদ ইবনে সাবেত (রা:) একবার তার সওয়ারিতে ওঠার জন্য সিঁড়িতে পা রাখলেন। তখন ইবনে আব্বাস (রা:) সিঁড়িটি শক্ত করে ধরলেন। এ সময় জায়েদ ইবনে সাবেত (রা:) বললেন, হে রাসুল (সা:) এর চাচাত ভাই, আপনি হাত সরান। উত্তরে ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, না, আলেম ও বড়দের সঙ্গে এমন সম্মানসূচক আচরণই করতে হয়। (আল ফকিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ: ২/১৯৭)

খেলাফতের যুগেই ইসলাম প্রত্যেকের জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। শিক্ষাকে সহজলভ্য করতে তখন শিক্ষকের জন্য সম্মানজনক পারিশ্রমিকও নির্ধারণ করা হয়েছিল। যদিও দ্বীনি শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষকরা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জ্ঞান বিতরণ করতেন।

আর তারা যেহেতু নিজেদের জীবিকার পেছনে না ছুটে শান্ত সৌম্য মস্তিস্কে জ্ঞান বিতরণের পবিত্র কাজে আত্মত্মনিয়োগ করেছেন, তাই তৎকালীন খেলাফত ব্যবস্থা বা সরকার তাদের সম্মানে অভিষিক্ত করেছিলেন। তাদের জ্ঞা বিতরণের এ মহৎ কাজকে সম্মান জানিয়ে তাদের পরিবার পরিজনের যাবতীয় আর্থিক খরচ বহন করেছিলেন। য়েন জীবনের তাগিদে শিক্ষকদের ভিন্ন কোন পথে পা বাড়াতে না হয়। উমর (রা:) ও উসমান (রা:) তাদের শাসনামলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেণ। তারা শিক্ষক ও ধর্মপ্রচারকদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। আবদুর রহমান ইবনুল জাওজি (রহ:) তার বিখ্যাত সিরাতুল উমরাইন গ্রন্থে উল্লেখ করেন, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা:) ও হযরত উসমান (রা:) এর যুগে মুয়াজ্জিন ইমাম ও শিক্ষকদের সরকারি ভাতা দেয়া হত। (কিতাবুল আমওয়াল-১৬৫)

শিক্ষকের মর্যাদা সম্পর্কে নবিজি (সা:) বলেছেন, ‘তোমরা জ্ঞান অর্জন কর এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য আদব শিষ্টাচার শেখ। এবং যার কাছ থেকে তোমরা জ্ঞান অর্জন কর তাকে সম্মান কর।’ (আল মুজামুল আওসাত, হাদিস-৬১৮৪)

পূর্ববর্তী আলেমরা যেভাবে শিক্ষকদেরকে সম্মান দিতেন

বর্ণিত আছে, ইমাম আহমদ (রহ:) ইসলামী জ্ঞান তাকওয়া ও খোদাভীতির দিক দিয়ে তার শিক্ষকের তুলনায় অনেক অগ্রগামী ছিলেন। এরপরেও তিনি কখনো শিক্ষকের সামনে বসতেন না বরং আমাদের শিক্ষকের সামনাসামনি বসার অনুমতি দেয়া হয়নি। (তাজকেরাতুস সামে ওয়াল মুতাকাল্লিম-৭৮)

ইমাম শাফেয়ি (রহ:) ইমাম মালেক (রহ:) এর অন্যতম শিষ্য ছিলেন। তিনি বলেন আমি যখন ইমাম মালেক (রহ:) এর সামনে কিতাবের পৃষ্ঠা উল্টাতাম তখর অনেক ভদ্রতা ও বিনয়ের সাথে উল্টাতাম, খেয়াল রাখতাম যেন তিনি শব্দ পেয়ে কোনও ভাবে বিরক্ত না হন। (হাওয়ালা সাবেক, ৮৮)

পবিত্র কুরআনেই হযরত মুসা (আ:) ও হযরত খিজির (আ:) এর ঘটনা সবিস্তারে উলে। লখ করা হয়েছে। হযরত মুসা (আ:) একজন নবি হওয়ার পরও হযরত খিজির (আঃ) এর সব কথা ও আদেশ ধৈর্য্য সহকারে শুনছিলেন। এ ঘটনা আমাদের জন্য অবশ্যই শিক্ষণীয়।

ইসলামে নবি রাসুলের সম্মান সবার ওপর। আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, নবিগণ মানবতার শিক্ষক। তারা মানুষকে আল্লাহ তায়ালার বিধান সম্পর্কে অবগত করেন, ভালো ও মানবতার বিষয়গুলো শিক্ষা দান করেন।

নবি রাসুলের পর মা-বাবাকে সব থেকে বেশি সম্মান দেয়া হয়। বাবা-মায়ের মতো একজন শিক্ষককেও সম্মান দেয়া উচিত।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি শাহ মুহাম্মদ সগীর লিখেছেন
ওস্তাদে প্রণাম করোঁ পিতা হস্তে বাড়
দোসর-জনম দিলা তিহঁ আহ্মার
বিখ্যাত সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বান (রা:) ফকিহ সাহাবিদের মধ্যে সব থেকে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। তিনি কুরআন ও হাদিসের অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। কুরআনের তাফসিরের ক্ষেত্রে উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বিবেচনা করা হয় তাকে।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ফকীহ সাহাবিদের মধ্যে সব থেকে গ্রহণযোগ্য ছিলেন, তিনি কোরআন ও হাদিসের অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। কোরআনের তাফসিরের ক্ষেত্রে উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বিবেচনা করা হয় তাকে।

এতো উচ্চমাপের ব্যক্তি হওয়ার পরেও তিনি এতোটা সরল ছিলেন যে, হজরত জায়েদ বিন হারেসা আনসারী রা. এর উটের লাগাম নিজ হাতে ধরতেন, এবং বলতেন, আমাদেরকে বিজ্ঞজনদের সাথে এমন আচরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। -(মুসতাদরাক হাকেম, ৩/২৩)

সমাজে শিক্ষকদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখার ঐতিহ্য ও রীতি বেশ প্রাচীন। শিক্ষা অনুযায়ী মানব চরিত্র ও কর্মের সমন্বয় সাধনই হচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তাগিদ। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর পরে, রাসূলের পরে ওই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা মহানুভব যে জ্ঞানার্জন করে ও পরে তা প্রচার করে।’ (মিশকাত শরিফ)

উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ)-ও তার যুগে ইয়াজিদ ইবনে আবি মালেক ও হারেছ ইবনে ইউমজিদ আশারি (রহ.)-কে ওই অঞ্চলে দ্বীন শেখানোর কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। বিনিময়ে তাদের জন্য সম্মানজনক পারিশ্রমিকও নির্ধারণ করা হয়েছিল। অবশ্য ইয়াজিদ (রহ.) তা গ্রহণ করলেও হারেছ (রহ.) তা গ্রহণ করেননি। (কিতাবুল আমওয়াল, পৃষ্ঠা: ২৬২)

বস্তুত ইতিহাসে যুগ যুগ ধরে ইসলাম ও ইসলামের মনীষীরা শিক্ষক ও গুরুজনদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা দিয়ে আসছেন। নিঃস্বার্থভাবে জ্ঞান বিতরণের দীক্ষাও দিচ্ছেন নিরন্তর ভাবে।

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর শিক্ষক জাতি গঠনের কারিগর ও জাতির বিবেক। শিক্ষক জাতির মুকুট হয়ে থাকে। যুগে যুগে শিক্ষক এই স্থান দখলে রেখেছে। কাজী কাদের নেওয়াজ এর মতে

শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার
দিল্লীর পতি সে তো কোন ছার?

সৌজন্য হারাচ্ছে ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কঃ দুঃখজনক ভাবে বর্তমান সময়ে ছাত্র শিক্ষকের মাঝে সেই। ভালোবাসা, সৌহাদ্য ও সম্মান অনেকটাই হারাতে বসেছে। শিক্ষার্থীরা নিজের শিক্ষকের সাথে এমন আচরণ করে যা দেখে মনে হয় শিক্ষক তার বিরোধী বা বিপক্ষের কেউ। ভদ্রতা, সৌজন্য ও সম্মান রক্ষা তো দূরের কথা। এই অবাঞ্চিত, তিক্ত ও ভঙ্গুর সম্পর্কে পিছনে অনেক নিয়ামক ও কারণ দায়ী। পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ও এমনকি রাজনৈতিক অনুঘটকও দায়ী। পূর্বে পারিবারিকভাবে পিতৃস্থানীয় মুরুব্বী, আলেম শিক্ষক, মোড়ল, বা গন্য মান্য ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা, সম্মান দেখানোর মত মূল্যবোধ শিক্ষা দেয়া হত। সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি হয়েছে জঘন্যতম। পারিবারিক বা সামাজিক যে কোন তুচ্ছ বিষয় রাজনৈতিক রং মেখে এই পবিত্র সম্পর্ককে কুলষিত করছে।

শিক্ষকরাও এই পরিস্থিতির জন্য অনেকাংশে দায়ী। লেজুর ভিত্তিক রাজনীতি, দায়িত্বহীনতা, কর্মের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা ও পেশাগত মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষকরা যতদিন না সচেতন ও সংশোধিত হবে ততদিন শিক্ষকরা হরানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone