লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় এ বছর আবহাওয়া আমন চাষাবাদের অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় লালমনিরহাটের কৃষকের মুখে সোনালী হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা আশা করছেন বাম্পার ফলনের। বৃষ্টির পানি নির্ভর লালমনিরহাটের ভূমির এই জেলায় এবারে বর্ষা চাষিদের অনুকূলে থাকায় কৃষকগণ মঙ্গারবাজারে পানির দামে ঘরের ধান, চাল বিক্রি করে অধিকমূল্যে সার বীজ কিনে আশায় বুক বেধে আমন চাষাবাদ করেছে।
এ পর্যন্ত আবহাওয়া চাষিদের অনুকূলে থাকায় সারা মাঠ সবুজের সমাহারে ভরে গেছে যে দিকে তাকাই সে দিকেই সবুজ আর সবুজ। ইতিমধ্যেই মাঠের ধান গাছগুলো এখন কাঁচখোড় অর্থাৎ ধান গাছের পেটে ধান ভর্তি হয়ে উঠেছে। আর কয়েক দিন পর সাদা ধানের শীষে সারা মাঠ ভরে উঠবে। এখনও মাঠের ধান ক্ষেতে অনিষ্টকারী কোন পোকা মাকড়ের উল্লেখযোগ্য উপদ্রপ না। থাকায় মাঠ চাষিদের অনুকূলে রয়েছে।
জানা যায়, এবারে উফশি আমন ও স্থানীয় জাতের আমন চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকদের মাঠে ধান ক্ষেতে যাতে অনিষ্টকারী কোন পোকামাকড় ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য প্রতিদিন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সাথে মাঠে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া চাষিদের অনুকূলে থাকা ক্ষেতের ধান দেখে কৃষকের মনে আনন্দের দোলা লেগেছে। প্রতি বছর এ জেলায় চাহিদার তুলনায় অধিক পরিমাণ খাদ্য শস্য উৎপাদন হয়ে থাকে এবারেও জেলার চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য জেলার বাহিরে রফতানি করা যাবে বলেও অভিজ্ঞ কৃষকরা জানিয়েছেন।
ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন, এ আমন মৌসুমে ধান চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে ধান চাষে কৃষকদের যথাসাধ্য পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছি। যার ফলশ্রুতিতে আমন ধান চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।