লালমনিরহাটের পাটগ্রামে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঘটনার হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও ফাঁসির দাবীতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী এবং স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা বাজারের বুড়িমারী-লালমনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় ২ঘন্টা ব্যাপী নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে এ মানববন্ধনে শত শত মানুষেরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বক্তব্যে দাবি করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বাউরা ইউনিয়নের সফিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোবারক হোসেন ও ফারুক হোসেন পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই সময় নিহতের স্বজনদের করা ২টি মামলায় ৮৭জনসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরকে আসামী করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে মাত্র ৯জনকে রাখে। বর্তমান পরিবর্তিত সময়ে ওই সময়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে পূণরায় মামলা গ্রহণ ও পুনঃতদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন নিহত ফারুক হোসেনের বাবা মাওঃ খায়রুল ইসলাম, পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব সফিকার রহমান, আহবায়ক কমিটির সদস্য বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপল, পাটগ্রাম উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন সুমন, সাবেক ছাত্রদল নেতা হবিবর রহমান পলাশ, পাটগ্রাম উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুর রহমান রাশেদ, পাটগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরশ উল বসুনিয়া, পাটগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহফুজ আলম রিফাত, বাউরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, সহ-সভাপতি মহসিন আলম, আবু নাসের সিদ্দিকী সোহেল, বাউড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুর নুর তুষার, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর সাত্তার প্রমুখ। এ সময় নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী এবং স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।