১৭, লালমনিরহাট-০২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন তাঁদের প্রতিবেশী ও কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর এটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে আদেশ দিয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী অভিযোগটির বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
মামলার আসামিরা হলেন- নুরুজ্জামান আহমেদের ভাই ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার শামসুজ্জামান আহমেদ (৫৫), কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (৫৬) কালীগঞ্জের কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুজ্জামান আহমেদ (৫৭) এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ (৫৩)। মামলায় আসামি হিসেবে তাঁরাসহ ১৩জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০-৫০জনকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৭ আগস্ট বিকেলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রীখাতা মৌজায় এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তাঁর জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা লাঠি, লোহার রড, ছোরা, হকিস্টিকসহ সেখানে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে হুমকি-ধমকি দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সীমানা প্রাচীর ভেঙে নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করতে থাকলে মামলার বাদী এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তাঁদের বাধা দেন। এ সময় হামলাকারীরা তাঁর হাতে, পায়ে, পিঠে ও নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করেন।
মামলার বাদী এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বলেন, এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক অভিযোগের শুনানির পর এটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কালীগঞ্জ থানার ওসিকে আদেশ দেন।