লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের নাম বীর বিক্রম শহীদ ক্যাপ্টেন তমিজ উদদীনের নামে করনের দাবি উঠেছে।
রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন যে, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামের নাম কেন বিনা ভোটের (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) সাবেক এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পিতার নামে হয়েছে এবং এখনো আছে?
এতে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কোনো ব্যক্তির নামে যদি এটি (নাম করন) হতে হয়, তাহলে এটি (অডিটোরিয়াম) কালীগঞ্জের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর বিক্রম উপাধি (খেতাব) প্রাপ্ত শহীদ ক্যাপ্টেন তমিজ উদদীনের নামে কেন হয়নি?
ফেসবুকের স্ট্যাটাসে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সংস্কার (রাষ্ট্র সংস্কার) যখন হচ্ছে তাহলে এর (অডিটোরিয়াম) সংস্কার এবং পরিবর্তন (ইতিবাচক) চাই। এটির (কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম) নাম বীর বিক্রম ক্যাপ্টেন তমিজ উদদীন করা হোক।
এখানে উল্লেখ যে ২০১২ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের অর্থায়নে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়।
নাম করন করা হয়: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সাংসদ করিম উদ্দিন আহমেদ অডিটোরিয়াম, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট।
এই অডিটোরিয়াম নির্মাণের সময় করিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে নুরুজ্জামান আহমেদ কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। নুরুজ্জামান আহমেদ কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ দিন থেকে রয়েছেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৭, লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ এবং ২০২৪ সালেও একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী পরে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এমপি হলেও মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হতে পারেন নি। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী থাকার সময় তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
এখানে উল্লেখ যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান। এ অবস্থায় নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার একমাত্র ছেলে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাকিবুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাশিরাম গ্রামের বাসভবন ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। ৫ আগস্ট রাতে দুর্বৃত্তরা সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও সাবেক এমপি নুরুজ্জামান আহমেদের বাস ভবনে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করেছে।
এ দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের নাম ফলক/ সাইনবোর্ড থেকে কেবা বা কাহারা লালমনিরহাট-২ আসনের এমপি (সাবেক) নুরুজ্জামান আহমেদের বাবা করিম উদ্দিন আহমেদের নাম মুছে ফেলেছে (উঠিয়ে ফেলেছে)।
এমন অবস্থায় রোববার কালীগঞ্জের একজন কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের নাম বীর বিক্রম শহীদ ক্যাপ্টেন তমিজ উদদীনের নামে নাম করনের দাবি তে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.