খরিপের পর এবার রবি মৌসুমের সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের চাষিরা। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় রবি সবজি চাষের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবি মৌসুম আসতে এখনও প্রায় ৩ মাস সময় থাকলেও চাষিরা আগাম জাতের সবজি চাষে মাঠে নেমেছেন। আগাম জাতের রবি সবজি ফলাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ভাল ফলনের আশা করছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, লালমনিরহাটের শীত (রবি) ও গ্রীষ্মকালীন (খরিপ) সবজি চাষাবাদ করা হয়। গ্রীষ্মকালীন সবজি উত্তোলন এখনো শেষ হয়নি। এর পাশাপাশি কৃষকরা এখনই আগাম জাতের রবি সবজি চাষে মাঠে নেমেছে।
উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা বলছেন, নানা জাতের সবজি বীজতলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
কৃষকরা বলছেন, আগাম জাতের সবজি চাষে যেমন লাভ রয়েছে তেমনি ঝুঁকিও আছে। বীজতলার ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা আরও বেশি। কমবেশি বৃষ্টি লেগেই আছে। পাশাপাশি রোদের সঙ্গে রয়েছে ভ্যাপসা গরম। এতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের চাষি হযরত আলী জানান, সবজির বীজতলার জমি অবশ্যই উঁচু হতে হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর জাত ভেদে নিয়মানুযায়ী সবজির বীজ বপন করতে হয়। তার আগে বীজতলার জন্য বাঁশ ও প্লাস্টিকের ছাউনি তৈরি করে নিতে হবে।
তিনি আরও জানান, সারা দেশেই লালমনিরহাটের সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রবি মৌসুমের জন্য কৃষকরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিয়ালখাওয়া, চাপারহাট, ভোটমারী, দৈখাওয়া, সিঙ্গিমারী, কুমড়িরহাট, চন্দনপাট, বড়কমলাবাড়ী, হাজীগঞ্জ, চন্ডীমারি, কর্ণপুর, দুড়াকুটি, ফুলগাছ, কোদালখাতায় বছরের বারো মাস সবজি চাষ হয়ে থাকে।