লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খানের বাসভবনে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর বের হওয়ার পর গতকাল সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাতে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ ৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার ১০টায় লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ সেখান থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত ৬জনের মধ্যে ৫জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীর খাতাপাড়া এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে শ্রাবণ (১৮), লালমনিরহাট শহরের নবীনগর এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে জনি মিয়া (১৮), কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর বড়ভিটা বড়লই গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে রাদিফ হোসেন (১৭), রাজারহাটের জয়কুমুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে রাজিব উল করিম (১৮) ও লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মৃত খোকনের ছেলে শাহরিয়ার তন্ময় (১৮)। স্বজনেরা লাশগুলো শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, মৃতদেহের সঙ্গে থাকা অবশিষ্ট কাপড়ের চিহ্ন দেখে এবং একটি মরদেহের গলায় চেইন দেখে লাশ শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যরা। একজনের পরিচয় উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লালমনিরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে সুমন খানের বাসভবনটির অবস্থান। গতকাল সেখানে তিনি বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা সেখানে ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর বের হওয়ার পর গতকাল সোমবার বিকেলে শহরে মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিল থেকে সুমন খানের বাসভবনে হামলা করা হয়। একপর্যায়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিভে গেলে ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমে তিনটি ও একটি কক্ষের মেঝেতে তিনটি অগ্নিদগ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
এ দিকে গতকাল বিকেলে লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের উকিলপাড়ায় বাসভবনে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।