সবজী চাষীদের অভিযোগ, ন্যায্য মূল্যে শাক-সবজি বিক্রি করতে না পারায় তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতি মৌসুমেই। লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হয়। যেমন- বেগুন, করলা, শসা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, লালশাক, ডাটাশাক, কচু, আলু, ঢেঁড়স, পেঁপে, মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মরিচসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ হয়। উৎপাদিত সবজি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী, লালমনিরহাট পৌরসভার গোশালা বাজার, আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের কুমড়িরহাট পাইকারি বাজারে বিক্রি করে থাকেন কৃষকরা। ভরা মৌসুমে পাইকারি ক্রেতারা স্থানীয় বিভিন্ন বাজার থেকে প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ ট্রাক শাক-সবজি কিনে রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনী, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় লালমনিরহাট জেলার শাক-সবজি জেলার মানুষের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত শাক- সবজি ওই সব জেলায় রপ্তানি করা হচ্ছে।
বড়বাড়ী, কুমড়িরহাট, গোশালা বাজার পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকালে প্রতিদিন আশপাশের গ্রাম থেকে সবজি চাষিরা সাইকেল, ঠেলাগাড়ি, ভ্যান, রিকশা, অটোরিক্সায় বিভিন্ন ধরনের সবজি নিয়ে আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রতার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সবজি চাষি জানান, পাইকারি ক্রেতারা স্থানীয় দালালদের সঙ্গে বাজার বসার আগেই আলোচনা করে একটা দাম ঠিক করে নেন। সেই দামেই পাইকাররা বাজার থেকে সবজি কিনেন। সিন্ডিকেটের কারণে শেষ পর্যন্ত লোকসান দিয়েই সবজি বিক্রি করতে হয়।
আরও জানান, আমরা কৃষক মানুষ। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে সবজি উৎপাদন করি ঠিকই, কিন্তু বাজারে সঠিক দাম পাই না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, চলতি মৌসুমে শাক-সবজির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে কিন্ত চাষাবাদ করা হয় ৫হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি বিভাগ আশাবাদী।