শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
ঐতিহ্যবাহী মোগলহাট জিরো পয়েন্ট এখন শুধুই স্মৃতি : দর্শনার্থীদের ভিড়

ঐতিহ্যবাহী মোগলহাট জিরো পয়েন্ট এখন শুধুই স্মৃতি : দর্শনার্থীদের ভিড়

লালমনিরহাট শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ইউনিয়নের নাম মোগলহাট। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সুবেদার সায়েস্তা খাঁ-এর পুত্র এবাদত খাঁ ঘোড়াঘাটের ফৌজদার থাকাকালীন কোচবিহার অভিযানের সময় এখানে ছাউনি স্থাপন করার কারণে জায়গাটির নাম “মোগলহাট” হয়েছে বলে জানা যায়।
বৃটিশ শাসনের গোড়ার দিকে নূর উদ্দীন বাকের জঙ্গ-এর নেতৃত্বে সৃষ্ট কৃষক বিদ্রোহের সময় মোগলহাট একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে রঙ্গপুরের কালেক্টর রিচার্ড গুডল্যান্ড ও সেনাধ্যক্ষ মিঃ ম্যাকডোলান্ড সৈন্যবাহিনীসহ অতিক্ষিপ্ততার সাথে মোগলহাটে আক্রমণ চালিয়েছিলেন এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
ঐতিহাসিক স্থান ও মোগলহাটে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে রেলওয়ে স্টেশন স্থাপিত হয়। সে সময় মোগলহাটের ওপর দিয়ে লালমনিরহাট থেকে ভারতের গিদালদাহ হয়ে ধুবড়ী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ছিল। দেশ বিভাগের পর এ স্থান একটি সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিণত হয়। দেশ বিভাগের সময় রোপিত বট গাছটি বর্তমানে আর নেই। ধরলা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। যা বাংলাদেশ-ভারত এর জিরো পয়েন্টে একটি জীবন্ত পিলার হয়ে ছিল এক সময়। এখন শুধুই স্মৃতি।
মোগলহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার উত্তরে ভারতের গিদালদাহ, যেখানে ধরলা নদীর ওপর রয়েছে তিস্তা রেলওয়ে সেতুর ন্যায় অপর একটি সেতু। যার নাম “গিদালদাহ সেতু”। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ পথ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঠ, কয়লা, পাথর, সার ইত্যাদি আনা হতো। নদী ভাঙ্গনের ফলে ভারতের সাথে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে মোগলহাট রেলওয়ে স্টেশনটি একটি অলাভজনক স্টেশন হিসেবে বিবেচিত হলে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে লালমনিরহাট থেকে মোগলহাট পর্যন্ত রেল যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়।
পাসপোর্টধারীরা উভয় দেশের যাতায়াত করতে দীর্ঘদিন যাবত এ রুট ব্যবহার করে আসছিলেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাস থেকে তাও বন্ধ রয়েছে। ব্যস্ততার অতীত স্মৃতি ধারণ করে এখন নীরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে সার্চ টাওয়ার। রেলওয়ে স্টেশন ভবন, পুলিশ-ইমিগ্রেশন চেক পোস্টসহ আরও কতিপয় দফতর। তবে পাশে বিজিবি ক্যাম্পটি বর্তমানে সচল রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, রেলওয়ে স্টেশনের মূল্যবান জিনিসপত্র এবং রেলওয়ে লাইনের ‘লাইন’ লুটপাট ও চুরি হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার মাথাব্যথা নেই। বর্তমানে সীমান্ত সংলগ্ন ধরলা নদীর পাড়ে ভ্রমণ পিপাসু দর্শনার্থীদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। এরই ধারাবাহিকতায় মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone