শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
লালমনিরহাটে তিস্তা নদী নিয়ে সুচিন্তিত ভাবে কাজ করা হোক!

লালমনিরহাটে তিস্তা নদী নিয়ে সুচিন্তিত ভাবে কাজ করা হোক!

লালমনিরহাট জেলার উত্তর প্রান্তে দহগ্রাম (ভারত) থেকে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়ে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়েছে। এই নদীটি লালমনিরহাট জেলার শুরু থেকে শেষপ্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ১শত ৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত।

 

এই নদীটির উভয় পাড়ে বসবাসরত সাধারণ জনগণ প্রতি বৎসর খরা, বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে শত শত পরিবার। তাই এই নদী এখন অত্র অঞ্চলের মানুষের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিস্তার ন্যায্য পানির অংশ নিচ্ছে না।

 

এদিকে উক্ত নদীর উপর লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলাধীন দোওয়ানিতে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

 

খরা মৌসুমে পানি না পাওযার শুধু বালুচর ও বিরূপ আবহাওয়া সৃষ্টি আবার বর্ষার অতিরিক্ত পানি প্রবাহের ফলে বন্যা এবং নদীভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে।

 

এই পরিস্থিতিতে উক্ত নদীর উভয় পাড় বেধে নদী শাসন করে, ডেজিং এবং স্পার ও জলাধার (ওয়াটার ভেসেল) নির্মাণ পূর্বক পানি সংরক্ষণ করে খরা মৌসুমে নদীর নাব্যতা রক্ষা ও সংরক্ষিত পানিতে মৌসুমী মাছ চাষ করা সম্ভব।

 

এভাবে বন্যা, খরা ও নদীভাঙ্গন রোধ করাও সম্ভব হবে। সেই সাথে নদীর উভয় পাড়ে প্রায় ২শত ৫০ কিলোমিটার স্থানে দেশের এনজিওদের সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও বন সম্পদ সৃজন এবং উন্নয়নের মাধ্যমে নদী উপকূলের হাজার হাজার পরিবার মৎস্য চাষ ও বনায়নে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে এলাকার বেকারত্ব ও উন্নয়ন সংঘটিত হবে।

 

এ বিষয়ে প্রকল্প প্রণয় করে বিশ্ব ব্যাংক বা অন্য কোন দাতা সংস্থার সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

 

এভাবে বর্তমান তিস্তা নদীর অভিশাপকে আশীর্বাদে রূপান্তর করা সম্ভব।

 

এ বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। যা হতে পারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্ত ও মাইলফলক।

 

প্রসঙ্গত, চলতি ২০২৩খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট সকাল ১০টায় লালমনিরহাটের মিশন মোড় গোল চত্ত্বরে অতিক্রম লালমনিরহাটের আয়োজনে পরিবেশবান্ধব তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন চাই দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone