লালমনিরহাটে ধরলা নদীর পানি ১১সে.মি উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টা লালমনিরহাট বন্যার তথ্য কেন্দ্র হতে এ জানানো হয়েছে।
এ পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, বড়বাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ২০হাজারের অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়নের চর ফলিমারির উপর দিয়ে কমর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০.৯৮মিটার (বিপদসীমা ৩০.৮৭মিটার) যা বিপদসীমার ১১সেন্টিমিটার উপরে।
এদিকে ধরলা নদীর পাটগ্রাম পয়েন্ট- পানি সমতল ৫৭.৭০মিটার (বিপদসীমা= ৬০.৩৫মিটার) যা বিপদসীমার ২৬৫সে.মি নিচে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধরলা নদী পাড়ে হু হু করে পানি বেড়ই চলছে। হঠাৎ এ পানি বৃদ্ধি পাওয়ার লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, বড়বাড়ী এবং কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাটসহ সবজির খেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)র নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, ধরলা পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিছু বাঁধ ও রাস্তা ঘাট ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
অপরদিকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্ট- পানির সমতল ৫১.৮০মিটার (বিপদসীমা= ৫২.১৫মিটার) যা বিপদসীমার ৩৫সে.মি নিচে।
এছাড়াও কাউনিয়া পয়েন্ট- পানির সমতল ২৯.১২মিটার (বিপদসীমা= ২৯.৩১মিটার) যা বিপদসীমার ১৯সে.মি নিচে।
লালমনিরহাটে গতকাল সকাল ৯টা হতে আজ সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতঃ ৩০মিলিমিটার।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বাপাউবো পানি ভবন ঢাকা কর্তৃক বন্যা সতর্কীকরণ বার্তায় উত্তরাঞ্চলের নদী সমূহের পানি সমতল সম্পর্কিত পূর্বাভাস (৮ জুলাই, ২০২৪ খ্রি.) এ ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ঘণ্টা অবধি ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে।
আগামী ২৪ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং ধরলা ও দুধকুমার নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ধীর গতিতে উন্নতি হতে পারে।
আগামী ৪৮ঘন্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত স্টেশন: পাটেশ্বরী (দুধকুমার) +৩৯, কুড়িগ্রাম (ধরলা) +২৯, গাইবান্ধা (ঘাঘট) +১৪, নুনখাওয়া (ব্রহ্মপুত্র) +৪৩, হাতিয়া (ব্রহ্মপুত্র) +৪৫, চিলমারী (ব্রহ্মপুত্র) +৫৫, ফুলছড়ি (যমুনা) +৬৩, বাহাদুরাবাদ (যমুনা) +৭৬, সাঘাটা (যমুনা) +৭৪, সারিয়াকান্দি (যমুনা) +৫২, কাজিপুর (যমুনা) +৪৯, জগন্নাথগঞ্জ (যমুনা) +১১২, সিরাজগঞ্জ (যমুনা) +৬০, পোড়াবাড়ী (যমুনা) +২৯, বাঘাবাড়ি (আত্রাই) +০৮।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.): নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংশ্লিষ্ট উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.): কোচবিহার (পশ্চিম বঙ্গ) ২৫.০।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.