লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ চালু থাকলেও মাঠ কর্মীদের দায়িত্বহীনতা, উদাসীনতা ও গোপনে ঔষধ বিক্রির কারণে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের কার্যক্রম চলছে কাগজে-কলমে। ফলে এ জেলার জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবার পরকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম কোনভাবেই কাজে আসছে না।
প্রায় ১৫লক্ষাধিক মানুষের জন্য এই লালমনিরহাট জেলার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম থাকলেও আজ পর্যন্ত তেমন কোন সাফল্য আসেনি। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ পরিকল্পিত পরিবার গঠনে কাজ করলেও সাধারণ মানুষের মাঝে এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি মাঠ কর্মীদের অলসতা, অবহেলার জন্য।
‘ছেলে হোক মেয়ে হোক, দুটি সন্তানই যথেষ্ট’ এ শ্লোগান শুধু দেওয়াল লিখনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এর কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না।
লালমনিরহাট জেলার প্রায় প্রতিটি পরিবারে রয়েছে কমপক্ষে ৩টি থেকে ৫টি সন্তান। আবার কোন কোন পরিবারে এর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এতে করে বেশির ভাগ সংসারে অভাব অনটন লেগেই আছে। অপসংস্কৃতির জালে আবদ্ধ এসব পরিবারে বাল্য বিয়ের প্রবণতা অনেক বেশি।
অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনসংখ্যা। সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে অস্থিরতা, নষ্ট হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা। বালিকা বধূরা ভূগছে নানা অপুষ্টিতে। মাতৃ স্বাস্থ্যহানির কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রতিবন্ধী শিশুর সংখ্যা। ফলে ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য।