লালমনিরহাটে তীব্র যানজটে অসহনীয় হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। অতিরিক্ত রিকশা, ইজিবাইক, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, অনুমোদনহীন অটোরিকশা স্ট্যান্ড, নির্মাণ সামগ্রী রেখে রাস্তা দখল করায় এ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছ, শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক অটোরিকশা স্ট্যান্ড, যত্রতত্র অবৈধ গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত জুড়ে রয়েছে দোকানপাটসহ নানা ধরনের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা। এতে করে পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমেছে। যার ফলে গভীর রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে জেলা শহর জীবন। একইভাবে শহরের প্রায় সর্বত্রই নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী রাস্তার ওপর ফেলে রাখার কারণে রাস্তা সরু হয়ে পড়ছে। এতে রাস্তাগুলোতে যানজট তীব্র থেকে আরো তীব্রতর হচ্ছে দিন দিন। এদিকে ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা ও শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজির কারণে শহরের প্রতিদিন একাধিক ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেলেও প্রতিনিয়ত সড়কগুলোতে দেখা যায় দীর্ঘ যানজটের চিত্র। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন শহরবাসী। বাস, ট্রাক, মাইক্রো, ইজিবাইকের পার্কিং ও ট্রাফিকদের অবহেলার কারণে কম বেশি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। যাত্রীবাহী বাস চলাচলে অব্যবস্থাপনার কারণে লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় এলাকায় যানজট লেগে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ দিকে সকাল-সন্ধ্যা শহরে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষিদ্ধ থাকলেও নির্মাণ সামগ্রী ও পণ্যবহনকারী বিভিন্ন ট্রাক ও পিকাপ চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে শহরে যানজটের তীব্রতা আরো বাড়ছে। অটোরিকশা ও ইজিবাইকে চেইন-টোকেন চাঁদাবাজী এবং ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার কারণে লালমনিরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় যানজটের কবলে পড়ে প্রতিদিন অন্তত ঘন্টাখানেক সময় নষ্ট করতে হয়। ট্রাফিক পুলিশ চাইলে নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে রেখে যানজট মুক্ত রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, যানজটের মুল কারণ পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ না থাকা এবং তাদের অব্যবস্থাপনা। শহরকে যানজট মুক্ত করতে ইলেকট্রিক ইন্ডিকেটর লাইটিং বোর্ড ব্যবহারের বিকল্প নেই।