শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
ভারত-বাংলাদেশের চিকেন নেক ফেনিকে টার্গেটে ব্যর্থ হয়ে পাহাড়িদের মদত দিচ্ছে! লালমনিরহাটের সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন-এঁর ইন্তেকাল হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ! আদিতমারীতে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে র‍্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এর সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ভুল কীটনাশক প্রয়োগে পুড়ে গেছে কৃষকের ধানক্ষেত! অধ্যক্ষ আবশ্যক এস বি এফ নার্সিং ইনিসটিটিউট, লালমনিরহাট লালমনিরহাটে কিন্ডার হিল্পস্ ওর্য়্যাক সংস্থার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপবৃত্তি, খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ৪শত ৭৩টি পূজা মন্ডবে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে!
লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার মিশন মোড় গোলচত্ত্বরের ফোয়ারার স্থলে এখন ঘাস লাগানো হয়েছে

লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার মিশন মোড় গোলচত্ত্বরের ফোয়ারার স্থলে এখন ঘাস লাগানো হয়েছে

মিশন মোড় গোলচত্ত্বর দেশের প্রায় অংসখ্য মানুষের কাছেই একটি পরিচিত নাম। এটি লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অবস্থিত। লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এই স্থানটির পরিচিতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার রাজধানীর সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক পথের প্রবেশদ্বার হলো- মিশন মোড় গোলচত্ত্বর। ক্রমেই স্থানটির গুরুত্ব বেড়ে চলছে। এখানে অভিজাত্য খাবার হোটেল রয়েছে প্রায় হাফ ডজন। এছাড়া বড় বড় নামীদামী আবাসিক হোটেলও রয়েছে।

 

এখানে গড়ে উঠেছে বে-সরকারি হাসপাতালসহ বেশ কিছু ক্লিনিক। এই স্থানটিকে কেন্দ্র করেই এখানে বিভিন্ন স্থাপনা করা হয়েছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার কারণে গোলচত্ত্বরের অনতিদূরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আশপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক বাজার ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ব্যবসার প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন গোলচত্ত্বর দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সব দিক দিয়ে স্থানটির কদর ক্রমেই বেড়ে চলছে। এখানে ১শতক জমির বর্তমান মূল্য কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫লক্ষ টাকা।

 

মিশন মোড় গোলচত্ত্বরের পরিচিতি ও কদর বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি এখান দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের। প্রায় ১যুগ ধরে এখানে কোন যাত্রী ছাউনি নেই। ফলে ঝড়, বাদলে ভিজে ও রোদে পুড়ে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। এদিকে এখানে নেই কোন পাবলিক টয়লেট। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যাত্রীদের ব্যাগ ছিনতাই, পকেটমার ও চুরি-ডাকাতি এখানে ঘটে থাকে অহরহ। অন্যদিকে এক শ্রেণির অসাধু লোকজনের প্রত্যক্ষ মদদে এখানে বিমান বাহিনীর জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু প্রভাবশালী লোকজন জায়গা দখল করে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছে। এতে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ফুটপাত। যার ফলে প্রায় সময়ই এখানে ঘটে বিশাল যানজট।

 

এদিকে, লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোলচত্ত্বর। বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের এ স্থানটি দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। পথচারীদের আকৃষ্ট করতে এখানে স্থাপন করা হয়েছিল একটি আলোকিত স্তম্ভ ও ফোয়ারা। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ফোয়ারাটি বিকল পড়ে আছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোর্দ্দ সাপটানা এলাকার আলোকিত স্তম্ভ ফোয়ারাটি আগের সৌন্দর্য আর নেই। সেই সাথে মরচে ধরা ও ভাঙা যন্ত্রাংশও নেই। দেখে বোঝার উপায় নেই, শেষ কবে এটি পানি ছিটিয়েছে। এখন আর সেই ফোয়ারাও নেই। ফোয়ারার স্থলে এখন ঘাস লাগানো হয়েছে।

 

আরও জানা গেছে, ২০০৬ সালে আলোকিত স্তম্ভটি নির্মাণ হয়। এরপর ২০১৬ সালে সেখানে একটি ফোয়ারা স্থাপন করা হয়। লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোলচত্ত্বর আলোকিত স্তম্ভ সংলগ্ন প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

কবি ও সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ বলেন, এ গোলচত্ত্বরটিতে হরহামেশাই নানা ধরনের ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে বড় বড় গর্ত থাকায় বৃষ্টির পানি জমাট বেধে থাকে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা জরুরি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone