লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের ফ্লাড বাইপাস এলাকায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ৪৩লক্ষ টাকা ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম হাসমত আলী।
অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ ও মামুন মিয়া। তারা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১২ জুন) ঘটনায় জড়িত ২ পুলিশ সদস্যকে লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ নির্মল চন্দ্র মোহন্ত এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাতীবান্ধা থানা-পুলিশ ও তিস্তা ব্যারাজ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের সাধুর বাজার এলাকার ভুট্টা ব্যবসায়ী হাসমত আলী ৪৩লক্ষ টাকা একটি ব্যাগে নিয়ে নীলফামারীর ডালিয়ার দিকে তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় অন্ধকার জায়গায় হাসমত আলীর পথরোধ করেন পরিচিত ২ ব্যক্তি। তারা হাসমত আলীর টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে হাসমত আলীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। তাদের আটকের পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত ২জন নিজেদের পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশরাও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাতেই দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ নির্মল চন্দ্র মোহন্ত গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার ও শাস্তির ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মঙ্গলবার রাতেই তাদের প্রত্যাহার করে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়।
অফিসার ইনচার্জ নির্মল চন্দ্র মোহন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসমত আলী নামের এক ব্যবসায়ীর পথরোধ করে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির ২ পুলিশ সদস্য। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে ওই ২ পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার জেলা পুলিশের নির্দেশে লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্সে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।