পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে মাদকাশক্তদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে চোরাই পথে ভারতীয় ফেন্সিডিল আমদানীর পাশাপাশি লালমনিরহাট জেলা জুড়ে ভারতীয় সীমান্তের ভারতের বিভিন্ন গ্রামে গোপনে ফেন্সিডিল তৈরির কারখানা গড়ে ওঠেছে এবং সেই নেশাজাত দ্রব্য কিভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড লালমনিরহাটে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আগেই প্রবেশ করানো যায় সেই নিয়ে দু'দেশেরই চোরাকারবারীরা ব্যস্ত।
আর এই মরণ নেশা ফেন্সিডিল খেয়ে শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে টগবগে তরুণ সমাজ। বর্তমান সময়ে তরুণ বয়সের যুবকরা এই সব আসল ও নকল ফেন্সিডিলের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে।
মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাট জেলার সীমান্তে চোরাই পথে সীমান্ত এলাকার প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতি বছর পবিত্র ঈদ-উল-আযহার পূর্বে ব্যাপক আকারে ভারতীয় ফেন্সিডিল নেশার তরল পদার্থ আসছে। এই সব ফেন্সিডিল ও তরল পদার্থ বর্তমানে প্লাস্ট্রিকের জারে সীমান্ত এলাকা পার করে সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাটের সীমান্ত এলাকাগুলোতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তার কারণে লালমনিরহাট জেলা জুড়ে মাদকাশক্তদের সংখ্যা দিন দিন আশংকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে লালমনিরহাট পুলিশের বিশেষ অভিযানে ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারিরা প্রতিনিয়তই গ্রেফতার হচ্ছে।
অপরদিকে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা দৃষ্টির কারণেই দু'দেশেরই চোরাকারবারীরা অতি গোপনে থেকে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে চাহিদার তুলনায় বিশেষ করে পবিত্র ঈদ- উল-আযহার সময় এই নেশাজাত দ্রব্যের সরবরাহ কম হওয়ায় ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে নকল ফেন্সিডিল তৈরির বিপদজনক পথ বেছে নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরেই বেশ কিছু অসাধু নেশাজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.