লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে পতিত জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষিদের মাঝে পেঁপে চাষে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মুক্ত পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
পেঁপে চাষিরা জানতে পারেন বেলে-দোআঁঁশ মাটিতে ও উচু জমিতে পেঁপে চাষ করা সম্ভব এবং এতে রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়। চাষিরা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ মোতাবেক পতিত জমি বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষে উৎসাহিত হন। এরপর তারা পেঁপে গাছ রোপণ করেন।
পেঁপে চাষীরা আরও জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে চারা রোপণের আগে এক ফুট দৈর্ঘ্য ও এক ফুট প্রস্থ গর্ত করে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার দিয়ে এক সপ্তাহ গর্তগুলো ভরে রাখেন। এরপর দেড় মাস বয়সের পেঁপে চারা রোপণের তিন মাস পর গাছে ফুল ধরে এবং ধীরে ধীরে ফল ধরতে শুরু করে। চার মাস পর থেকে ফল সংগ্রহ শুরু হয় বলে তিনি জানান।
জানা যায়, পাকা ফল অধিক জনপ্রিয় হলেও বিপণন ব্যবস্থার প্রতিকূলতা থাকায় কাঁচা ফল সবজি হিসেবে বিক্রি করেন।
একটি গাছ ৩ থেকে ৪বছর ফল দেয়, তাই চাষিরা আশাবাদী কোনোরূপ বৈরী পরিস্থিতি তৈরি না হলে ১লাখের অধিক টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, তিনি পেঁপে চাষিদেরকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি কৃষকরা স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে বাণিজ্যিকভিত্তিতে স্থানীয় জাতের পেঁপে চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.