লালমনিরহাটের বিডিআর রোড খোর্দ্দ সাপটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই মরহুম ময়নুল ইসলামের বাস ভবনের বিল্ডিং-এর সামনে দেয়ালের পাশে শোভা পাচ্ছে গাঢ় সবুজ হাসনা হেনা। এতে ফুল এসেছে। হৃষ্টপুষ্ট ঝোঁপালো একটি গাছ তাদের পাতা আর ফুলের ভারে মোহনীয় রূপ ধারণ করেছে।
হাসনা হেনা ফুলের পাঁপড়ি বিকশিত হয় রাতের প্রথম প্রহরে। অর্থাৎ দিনের আলো সরে আঁধার নেমে আসার পর ফুল ফুটতে শুরু করে এবং রাত বাড়ার সাথে সাথে পূর্ণ বিকশিত হয় ও মন মাতানো সুবাস ছড়ায়।
হাসনা হেনা ফুল আসায় সবাই খুব খুশী। ফুলের সুবাস সবাই বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সহজলভ্য। বাংলাদেশে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফুলের একটি এবং এখানে একে অনেকেই আদর করে বলেন হাসনা।
হাসনাহেনা সাদামাটা ফুল, তবু কিছুতেই এড়ানো যাবে না এমনই গন্ধের জোয়ার। যেখানেই ফুটুক, জানান সে দেবেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রজাতি। লতানো ধরনের ঝোপাল গাছ। ডালের গায়ে অজস্র সাদা সাদা তিল থাকে, এদের নাম ল্যান্টিসেল। পাতা লম্বাটে, ১৪.৪ থেকে ৩-৪ সেমি, মসৃণ। বছরে কয়েকবার ফুল ফোটে। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বেশি ফোটে। পাতার গোড়া বা ডালের ও আগায় ফুলের ছোট ছোট থোকা, সন্ধ্যায় ফোটে ও সুগন্ধ ছড়ায়। সাদাটে ফুল নলাকার, ২ সেমি লম্বা, ৫ পাপড়ি। ফল গোল, সাদা। কলমে চাষ। Cestrum diurnum বুনো প্রজাতি, ভারতে এবং বাংলাদেশেও জন্মায়। গাছ খাড়া, তেমন ঝোপাল বা লতান নয়। ফুলের গন্ধও কম, দিনের বেলা ফোটে।