লালমনিরহাটে সবুজ সার তথা ধৈঞ্চার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাসায়নিক সার ব্যবহারে দিনের পর দিন জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। মূলতঃ এ কারণে মাটির গুণাগুণ ও জৈব শক্তি বাড়াতে এর চাষ বাড়ছে বলে জানিয়েছে কৃষকেরা।
আর কিছু দিন পরই রোপা আমন ধান চাষের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জমির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে কৃষকেরা ধৈঞ্চা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। মাসখানেক আগে জমিতে ধৈঞ্চার বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে সে সব, জমিতে চাষ করে সবুজ সারে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ ব্লকের কোদালখাতা গ্রামের জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, কোনো উদ্ভিদকে চাষ করে সবুজ অবস্থায় তা মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে যে সার উৎপন্ন হয় তাকে সবুজ সার বলা হয়। স্থানীয় কৃষকদের জমির উর্বরতা রক্ষা ও মাটিতে জৈব পদার্থের গুণাগুণ রক্ষায় ধৈঞ্চা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
কোদালখাতা গ্রামের কৃষক মোঃ আজগার আলী নিজে তার জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে দুইবার চাষ দিয়ে জমিতে বীজ ছিটিয়ে বুনতে হয়। বীজ রোপণের ৪০দিন পর গাছে ফুল আসার সময় সবুজ থাকা অবস্থায় মই দিয়ে তা মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয়। এরও ১০-১২ দিন পর আবার মই দিলে তা পচে সবুজ সারে পরিণত হয়।
উল্লেখ্য যে, জমিতে মাত্রা অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারে মাটির প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থের উপাদান উদ্বেগজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। ধৈঞ্চা চাষে সবুজ অবস্থায় এটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ফলে একদিকে যেমন মাটির উর্বরতা বাড়ে অপরদিকে মাটির জৈব পদার্থের উপাদানের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নাইট্রোজেনের পরিমাণও বাড়ে। সবুজ গাছ পচার সময় জীবাণুর কার্যকারিতা বাড়ে। সবুজ জাতীয় গাছ মাটির আচ্ছাদন সৃষ্টি করে রাখে ও ভূমিক্ষয় রোধ হয়। এতে করে বেলে মাটিতে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং মাটির অভ্যন্তরে বাতাস চলাচলে সুবিধা হয়।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.