রেলের দূরত্ব ভিত্তিক রেয়াত পুনঃবহালের দাবিতে নাহিদ হাসানের অবস্থান
১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। যাত্রীদের রেলপথ ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য এটি করা হয়। এরআগে ২০১২ সালে সেকশন ভিত্তিক রেয়াত বাতিল করায় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ভাড়া একধাপ বাড়ে। উল্লেখ্য যে, পশ্চিমাঞ্চল সেকশনে বাংলাদেশের দরিদ্রতম জেলাগুলোর অবস্থান।
গত ৪ মে রেল কর্তৃপক্ষ এবার দূরত্ব ভিত্তিক রেয়াতি ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এর ফলে বগুড়াসহ বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুরের রেলযাত্রীদের বাড়তি গড়ে ১১২ কি.মি. রেলপথের ভাড়াও দিতে হচ্ছে। আগে বাড়তি সময়ও দিতে হত, ৪মে থেকে বাড়তি ভাড়াও দিতে হচ্ছে। কোন কোনও জেলায় ৩০ শতাংশ থেকে ৪০শতাংশ পর্যন্ত বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। একইভাবে কুমিল্লা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সকল যাত্রীরই ভাড়া ২৫% পর্যন্ত দিতে হবে। কারণ তাদেরও বাড়তি ৯০ কি.মি. ঘুরতে হয়।
রেলমন্ত্রী বলেছেন, যখন রেয়াতি দেওয়া হয়েছিল, তখন তো রেলে প্যাসেঞ্জার চড়তো না। তখন রেয়াত দিয়ে যাত্রীদের আকর্ষণ করা হত। এখন তো ট্রেনে প্যাসেঞ্জার ওঠে, পর্যাপ্ত যাত্রী ওঠে ট্রেনে।
তাহলে ট্রেনে পর্যাপ্ত যাত্রী ওঠাই রেয়াত তুলে দেওয়ার কারণ? এই প্রশ্নের পিঠে আরেকটি প্রশ্ন আসে, রেলমন্ত্রী তাহলে চান না, ট্রেনে পর্যাপ্ত যাত্রী উঠুক?
এর প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে কলামিস্ট ও সংগঠক নাহিদ হাসান অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম, রংপুর ও পার্বতীপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরবঙ্গের প্রায় সবগুলো জংশনে ও স্টেশনে পালিত হবে।
এছাড়াও প্রতিটি স্টেশনে লিফলেট বিতরণও হচ্ছে। আমার সাথে সংহতি জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ, গণআন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
আপনারা দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী। আপনাদের অবস্থান দেশবাসীর মতামত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পত্রিকার কলামে, টকশোতে, ফেসবুক পোস্টে রেলপথের এই দূরত্ব ভিত্তিক রেয়াত পুন:বহালের আন্দোলনকে তুলে ধরতে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
সংগঠিত জনগণই ইতিহাসের নির্মাতা!