লালমনিরহাটে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মাননীয় বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান মহোদয়ের লালমনিরহাট জেলায় শুভাগমন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) সকাল ১০টায় লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ মতিয়ার রহমান এম.পি-এঁর সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী ও অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম রাজু-এঁর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মাননীয় বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইকবাল কবীর। বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি সাইফুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেনসহ অন্যান্য বিচার বিভাগীয় প্রধান ও আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মাননীয় বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান লালমনিরহাট আদালত প্রাঙ্গণে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ এঁর শুভ উদ্বোধন করেন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মাননীয় বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান বলেন, বক্তব্যের শুরুতেই আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি পৃথিবীর বুকে একটি নতুন জাতি, একটি নতুন ভূখন্ড, একটি নতুন পতাকার জন্ম দিয়েছেন। আরও স্মরণ করছি, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে শাহাদত বরণকারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ জাতির পিতার পরিবারের আত্মোৎসর্গকারী সকল সদস্যগণকে। বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছি কারা অন্তরালে শাহাদত বরনকারী জাতীয় চার নেতাকে, যারা প্রত্যেকেই আইনজীবী ছিলেন। স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ নির্যাতিতা মা-বোন কে, যাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশের আত্মমর্যাদাশীল নাগরিক হিসেবে আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াতে সক্ষম হয়েছি।
সম্মানিত সুধী, লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি বার। উত্তরবঙ্গের এই ঐতিহ্যবাহী জনপদের অধিবাসীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা সর্বজনবিদিত। যুগে যুগে এই বার থেকে তৈরি হয়েছে প্রতিথযশা আইনজীবী, বিচারক, বিচারপতি, যারা তাদের পেশাগত জীবনের যাবতীয় অর্জনে এই বারের অবদানকে নিসংকোচে স্বীকার করে এই বারের মর্যাদাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই আজ আপনাদের মাঝে সামিল হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।
সুধীবৃন্দ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে বিরাজ করবে সাম্য ও ন্যায়বিচার। এ কারণে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শন ছিলো রাষ্ট্রের সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা। স্বভাবজাত প্রজ্ঞায় বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন যে একটি ন্যায়ভিত্তিক শোষণহীন সমাজ গঠনের জন্য, সমাজের সর্বস্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য, আইনের শাসনের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর এই আইনি দর্শনই যেন প্রতিফলিত হয়েছে বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনি মনীষা, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি, Justice Sandra Day O’Conor এর লেখায়। তিনি লিখেছেন, আমি কোট করছি- “The rule of law is not just about government and citizens, but it is also a principle that helps guide fair and ethical conduct in all spheres of life.” (আনকোট)
বঙ্গবন্ধু নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র ছিলেন। তাইতো তিনি নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের মূলসূত্রগুলো সন্নিবেশিত করে আমাদেরকে দ্রুততম সময়ে উপহার দিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম আধুনিক একটি সংবিধান, যেখানে বার বার এসেছে ‘আইনের চোখে সমতা’ এবং ‘ন্যায় বিচারের অধিকার’ ও ‘আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার’সহ গণমানুষের জন্য সংবিধান কর্তৃক নিশ্চয়তা প্রদানকারী অন্যান্য অধিকারের কথা।
প্রিয় আইনজীবী বন্ধুগণ, আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু যে ন্যায়ানুগ সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ বাংলাদেশের আইনজীবীগণ। আইনজীবীদেরকে বাদ দিয়ে এদেশের নাগরিকগণের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, অথবা, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য কিংবা মানুষের ন্যায়বিচার লাভের অধিকারের সফল বাস্তবায়ন দুরূহ একটি ব্যাপার। কেননা, একজন বিচারপ্রার্থী মানুষ যখন ন্যায়বিচার প্রাপ্তির আশা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে আসেন তখন প্রথমেই একজন আইনজীবীর দারস্থ হন। বিচারপ্রার্থীগণ আইনের জটিল নিয়ম কানুন জানেন না। তারপরেও তারা পরম নির্ভরতায় আপনাদের উপর তার সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুভার অর্পণ করেন। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের মধ্যকার এই নির্ভরতার সম্পর্ক আপনাদের জন্য একটি পবিত্র আমানত। তাই এই আমানত রক্ষা করার বিষয়ে আপনাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, লালমনিরহাট আইনজীবী সমিতির সকল সদস্যগণ এই গুরুত্বপূর্ণ পেশাগত দায়িত্বটি সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে সর্বদা সচেষ্ট আছেন।
আমি এখানে বেশ কিছু তরুণ মুখ দেখতে পাচ্ছি। তাদেরকেসহ আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই- আপনাদের স্মরণ রাখতে হবে যে আপনারা সকলেই মানুষকে আইনি সেবা প্রদানের জন্য এ পেশায় এসেছেন, এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে আইনজীবী হয়েছেন। তাই আমার অনুরোধ, এই মূল লক্ষ্য হতে আপনারা কিছুতেই কক্ষচ্যুত হবেন না। জাগতিক লোভ-লালসা যেন আপনাদেরকে আপনাদের পেশাগত নৈতিকতার মানদন্ড হতে বিচ্যুত করতে না পারে সে বিষয়ে সর্বদা সচেতন থাকবেন। আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে যে আইন শিক্ষা মূলত একজন নাগরিকের সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার শিক্ষা। কেননা, আইন পাঠ আমাদেরকে মানুষের স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে শেখায়, নিয়ন্ত্রণহীণ স্বাধীনতা নামক স্বেচ্ছাচারিতার পরিবর্তে আমাদের মননে স্বাধীনতা ভোগের সীমাবদ্ধতার মাত্রাজ্ঞান তৈরি করে। মনে রাখবেন, শুধুমাত্র আইনজীবী হিসেবে আপনার পরিচয়ের কারণেই আপনারা আপনাদের চারপাশের মানুষদের কাছে একজন সচেতন নাগরিকের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সকলে এ বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাদের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন।
সুধীবৃন্দ, বার ও বেঞ্চ উভয়ের সমন্বয়েই বিচার বিভাগ। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় উভয়ে উভয়ের পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয়। কোর্ট অফিসার হিসেবে আইনজীবীদের প্রথম কর্তব্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনের বিধি-বিধানের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করে আদালতকে সহযোগিতা করা। মনে রাখবেন, আইন শিক্ষা মানুষকে সহিষ্ণু হতে শেখায়, আইনকে সম্মান করতে শেখায়। তাই আপনারা খেয়াল রাখবেন, আদালতে যেন এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্রেক না হয় যার কারণে বিচারপ্রার্থীর মনে আদালত সম্পর্কে দ্বিধা বা সংশয় তৈরি হয়। মনে রাখবেন, বিচার বিভাগের সম্মান বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাই আমাদের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে যে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো কর্মকান্ডে যেন আমরা জড়িয়ে না যাই। মনে রাখবেন, আপনাদের সকলের লক্ষ্য কিন্তু এক ও অভিন্ন- মানুষকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করা। আমাদের সকল কর্মকান্ডে যেন সেটিই প্রতিফলিত হয়। তাই আমার প্রত্যাশা থাকবে, লালমনিরহাট বারের প্রত্যেক সদস্য আমাদের শত বছরের আইনি ঐতিহ্য, Judcial norms, manner, ettiqette যথাযথভাবে অনুসরণ করে বাংলাদেশের অন্যান্য বারের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
উপস্থিত সুধীমন্ডলী, প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর আমি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন, বিচার সেবা প্রাপ্তি সহজিকীকরণ তথা বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তারই অংশ হিসেবে কিছুদিন পূর্বে আমি বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলগণ, সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতিগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসসহ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীগণদের সাথে মতবিনিময় করেছি। ভবিষ্যতে বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে আমরা বসবো।
লালমনিরহাট বারের সম্মানিত আইনজীবীগণের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, মামলাজট হ্রাসকরণ, বিচার বিভাগ হতে দুর্নীতি নির্মূলকরণ, বিচার কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার সেবার মানোন্নয়নসহ বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে আপনাদের যদি কোনো পরামর্শ থেকে থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে লিখিত আকারে সুপ্রীম কোর্ট রেজিস্ট্রিতে প্রেরণ করবেন। আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা বিচার বিভাগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি জুডিসিয়াল প্লানটি প্রস্তুত করতে চাই।
আইনজীবী বন্ধুগণ, নিজেকে একজন প্রকৃত আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে কেবলমাত্র আইনের উপর দখল থাকলেই চলবে না, পেশাগত আচরণও সুন্দর হতে হবে। আপনারা আপনাদের সিনিয়রদের সম্মান করবেন, নিজের মামলা না থাকলে আলাদতে সিনিয়র আইনজীবীদের শুনানি শুনবেন। তাদের সমৃদ্ধ শুনানী আপনাদেরকে আরও দক্ষ করবে। আইনজীবীদের পেশাগত আচরণ সংক্রান্ত যে Canons গুলো রয়েছে সে সম্পর্কে আপনারা সকলেই অবহিত আছেন। একজন আইনজীবী তার মক্কেলের সাথে কেমন আচরণ করবে, তার সহকর্মীর সাথে তার আচরণ কি হবে, আদালতের প্রতি একজন আইনজীবী কিভাবে সম্মান প্রদর্শন করবে- এ সব কিছু সেখানে বলা আছে। মনে রাখবেন, এগুলো শুধু পরীক্ষা পাসের জন্য নয়। এই নৈতিক এই মানদন্ডসমূহ আপনারা মনে প্রাণে ধারণ করবেন এবং চর্চা করবেন।
প্রিয় আইনজীবীবৃন্দ, আইন পেশায় সফলতার জন্য কোনো সংক্ষিপ্ত রাস্তা নেই। একজন সফল আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সারা জীবন নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। আইন পেশায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে প্রয়োজন একাগ্র নিষ্ঠা, সততা, সময়ানুবর্তিতা, ধৈর্য্য, পরিশ্রম করার মানসিকতা ও নিরন্তর অধ্যয়ন। মনে রাখবেন, সঠিক সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং আইনি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে আদালতকে সহায়তা করাই একজন প্রকৃত আইনজীবীর কর্তব্য। তাই আপনারা নিজেদেরকে আইনের সর্বশেষ বিধান সম্পর্কে আপডেট রাখবেন। আইনের সর্বশেষ বিধান সম্পর্কে নিজেকে ওয়াকিবহাল রাখতে নিয়মিত ল’ জার্নাল পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার জ্ঞান ও কর্মে দ্বারা যদি আপনি নিজস্ব একটি অবস্থান তৈরি করতে পারেন তবেই সবাই আপনাকে খুঁজে নেবে তাদের আইনি সহায়তার জন্য। আইন পেশা মহান একটি পেশা। এই পেশার মাধ্যমে একজন আইনজীবী সরাসরি নিজেকে অসহায় একজন মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে পারে। তাই, আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, আইন পেশা কে নিছক জীবিকা নির্বাহের একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা না করে অধিকার বঞ্চিত মানুষের কল্যাণ নিশ্চিতকরণের একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করুন। কেবলমাত্র তবেই আইনজীবী হিসেবে আপনার যে পরিচয় রয়েছে তা প্রকৃত অর্থে সার্থকতা পাবে। লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দসহ যারা এই আয়োজনের জন্য তাদের মূল্যবান সময় ও শ্রম ব্যয় করেছেন তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ধৈর্য্য সহাকারে আমাকে এতক্ষণ শোনার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। আল্লাহ হাফেজ।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত লালমনিরহাট রেলওয়ে গণকবর পরিদর্শন করেন।