শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ
লালমনিরহাটে বিমাতার বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা করলেন ছেলে!

লালমনিরহাটে বিমাতার বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা করলেন ছেলে!

লালমনিরহাটে মৃতদেহ উদ্ধারের ৫ মাস পর আদালতে বিমাতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলেন ছেলে। বিমাতা মাধবী রানী সেনসহ ৮জনকে আসামী করা হয়েছে। গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশ লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর সেনটারী গ্রাম থেকে পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্র নাথ সেনের মরদেহ উদ্ধার করেছিলেন।

 

সোমবার (১৩ মে) লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসাইন মামলাটি রেকর্ড করে ৫দিনের মধ্যে আইনী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশকে।

 

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে আদালত থেকে মামলার কপি পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) রাশেদুল ইসলাম।

 

মামলার বাদী নিহতের সন্তান প্রশান্ত কুমার সেন বলেন, থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন থানায় গিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমার অভিযোগ আমলে নেয়নি। থানায় আইনী সহযোগিতা না পাওয়ায় ৫মাস পর আদালতে আশ্রয় নিয়েছি।

 

তিনি আরও বলেন, আমাদের পিতাকে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে সুকৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিমাতা ষড়যন্ত্র করে বাবার কাছ থেকে বসতভিটাসহ প্রায় ৭বিঘা জমি লিখে নিয়েছেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্রের প্রথম স্ত্রী মারা যান ১৯৯৮ সালে। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন মাধবী রানী সেনকে। ২০১২ সালে নিহতের প্রথম স্ত্রীর সন্তান প্রশান্ত ও প্রদীপকে বাড়ি থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিমাতার কারণে দুই ভাই কোনদিনই বাড়িতে ফিরতে পারেননি। দ্বিতীয় স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে ছিলেন হরেন্দ্র নাথ সেন। সতীনের ছেলেদের বঞ্চিত করে মাধবী রানী সেন তার স্বামীর কাছ থেকে সব জমি লিখে নেন। মাধবী রানীর পুত্র সন্তান নেই। দুই কন্যা সন্তানের বিয়ে দিয়েছেন। গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে মাধবী রানী অন্য আসামীদের সহযোগিতা নিয়ে হরেন্দ্র নাথ সেনকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহটি ঘরের মেঝের উপর রেখেছিলেন। এ সময় সকল আসামীরা বাড়ির ভেতর ছিলেন। বাড়ির প্রধান দরজায় বন্ধ রাখায় গ্রামের লোকজন বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে পারেননি।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী জিডি করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ভিসারা রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। এ কারণে এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি।

 

তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দ্রুত আসামীতের গ্রেফতার করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone