লালমনিরহাটে কচুর আবাদ বেড়েছে। লালমনিরহাট জেলার বাজারগুলোতে কচুশাকের চাহিদা বেড়েছে। জেলা শহরের অলি-গলিতেও কচুশাক বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন কচুর লতির চাহিদা বেড়েই চলছে।
দেশে কচুর অনেক রকমের ব্যবহার রয়েছে। কচুশাক, কচুর ডগা, কচুরমুখী ও লতি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। কচুতে প্রচুর পরিমাণ লৌহ ও ভিটামিন থাকে।
চলতি মৌসুমে বর্ষার প্রকোপ বেশি থাকায় কচুর সেচ খরচও কম হয়েছে। যেখানে দুদিনে একবার সেচ আর প্রতি সেচেই সার দিতে হয় সেখান এ বছর খরচও কম হয়েছে। রোগ ও পোকাও তুলনামূলক কম।
বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে লতিরাজ কচু চাষ পদ্ধতি জেনে উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, কচু চাষ খুবই লাভজনক। চাষিরা কচু চাষ করে বেশ ভালো লাভ করছেন। সেই সঙ্গে দিন দিন কচু চাষ এ জেলায় বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে। মুখীকচুর পাশাপাশি লতিরাজ কচু চাষ করেও কৃষকরা কম সময়ে লাভবান হচ্ছেন। করোনায় কচুশাক খাওয়া ভালো। সে কারণে মানুষ এ শাক বেশি খাচ্ছে।