মানুষকে সরকারি ঋণ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া এবং চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে প্রতারনার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এমদাদুল হক। তার সিন্ডিকেটে সদস্য রয়েছে ১০-১২জন। এমদাদুলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ব্রহ্মতল দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামে। সোমবার রাতে ব্রহ্মতল দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকা থেকে এমদাদুল সিন্ডিকেটের সদস্য আবুল কালাম আজাদ ওরফে রতন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় এমদাদুলসহ ৩জনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ফলিমারী গ্রামের প্রতাপ চন্দ্র রায় এমদাদুল সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়েন। প্রতাপকে গাভী পালনের জন্য ১৪লাখ টাকা ও মৎস্য চাষের জন্য ২০লাখ টাকা সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ঘুষের জন্য ৩লাখ ৫০হাজার টাকা এবং স্বাক্ষরিত ১২টি চেকের পাতা ও ১২টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নেন এমদাদুল হক। প্রতাপের মেয়েকে সরকারি চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এসব টাকা ৫টি মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ ও নগদে গ্রহণ করেন।
প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, আমাকে এমন ভাবে ফাঁদে ফেলানো হয়েছিল তাতে আমি এমদাদুল ছাড়া কাউকে বুঝতে চাইতাম না। তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিজেকে ব্যাংকের অফিসার, মৎস্য অধিদপ্তরের অফিসার ও বিসিকের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে কথা বলতেন। আমি বিশ্বাসও করেছিলাম।
তিনি বলেন, এমদাদুল একজন পেশাদার প্রতারক। তিনি অনেক মানুষকে ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করেছেন।
তিনি বলেন, এমদাদ সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন সরকারি অফিসে ঘুরে বেড়ান এবং ঋণ প্রত্যাশি মানুষকে ফাঁদে আটকান।
ব্রহ্মতল দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকার লোকজন বলেন, ১০-১২বছর আগে এমদাদুল একজন দিনমজুর ছিলেন। এখন তিনি ৬-৭বিঘা জমি ও একটি পাকা বাড়ির মালিক। গ্রামে তিনি ‘ফুংফাং এমদা’ নামে পরিচিত। প্রতারনার জন্য গ্রামে বহুবার বিচারও হয়েছে এমদাদুলের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন স্থানে তাকে আটকিয়ে রেখেছিলেন বিক্ষুদ্ধ লোকজন। সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়া ও সরকারি দেওয়ার নামে নেওয়া স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ভয় দেখিয়ে তিনি অনেক নিরীহ মানুষকে প্রতারিত করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদিতমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, এমদাদ সিন্ডিকেটের প্রধান এমদাদুল ও অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেসব মোবাইল নাম্বারে বিকাশ ও নগদে টাকা নিয়েছিল সেটির সত্যতা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, সরকারি ঋণ ও চাকুরি পাইয়ে দেওয়া নামে নেওয়া স্বাক্ষতি চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করতে তৎপর আছি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.