শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে ঢেঁড়স চাষে

লালমনিরহাটে এবার ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও দেশীয় জাতের এসব ঢেঁড়স স্থানীয় হাট-বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি দেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা বিক্রি করছেন। মৌসুমের শুরুতে ঢেঁড়সের ভালো দাম পেয়ে চাষিরা বেশ খুশি।

 

ঢেঁড়স চাষ লাভজনক হওয়ায় বিগত এক দশক ধরে লালমনিরহাটে ঢেঁড়সের আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। পতিত জমিতেও আবাদ হচ্ছে ঢেঁড়স। ঢেঁড়স চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

 

পাইকারি বাজারে প্রতিমণ (৪০ কেজি) ঢেঁড়স এখন বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৪শত টাকায়। এই হিসেবে ৪০ হতে ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

জানা যায়, লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ব্যাপক ঢেঁড়সের আবাদ হয়েছে। দেশি ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল জাতের ঢেঁড়স উৎপাদন হচ্ছে। লালমনিরহাটের মাটি ঢেঁড়স চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এই এলাকায় ঢেঁড়সের আবাদ বেড়েই চলেছে।

 

লালমনিরহাটের চাষিরা এখন ঢেঁড়স আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ঢেঁড়সের মৌসুম। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ মণ ঢেঁড়স হয়। মৌসুমের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত চাষিরা এক বিঘা জমি হতে ৫০ থেকে ৭২হাজার টাকা উপার্জন করেন। আর এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা।

 

চাষিরা জানান, অন্যান্য সবজির তুলনায় ঢেঁড়সে কীট-পতঙ্গের আক্রমণ কিছুটা কম। শ্রমিক ও সারের খরচও অপেক্ষাকৃত কম। বাড়ির নারীরাও এসে সহজে ঢেঁড়স তুলতে পারেন। এতে শ্রমমূল্য সাশ্রয় হয়। স্থানীয় মোকামে আনার পর ব্যাপারীরা নগদ টাকায় ঢেঁড়স ক্রয় করেন। ফলে চাষিদের ঢেঁড়স বিক্রি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজারে রয়েছে ঢেঁড়সের সবচেয়ে বড় মোকাম।

 

চাষিরা জানান, গত বছরও ঢেঁড়সের দাম ভালো ছিল। এবারও তাঁরা ভালো দামে ঢেঁড়স বিক্রি করছেন। গোশালা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মার্চ থেকে ঢেঁড়সের আমদানি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান ও বস্তা বোঝাই করে চাষিরা বিক্রির জন্য গোশালা বাজারে ঢেঁড়স নিয়ে আসছেন।

 

লালমনিরহাটের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, সম্ভাবনাময় ও লাভজনক হওয়ায় এখানে ঢেঁড়সের আবাদ বাড়ছে। আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ঢেঁড়সের ফলন হয়ে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone