লালমনিরহাটে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১টায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভা কার্যালয়ে পাটগ্রাম পৌরসভার আয়োজনে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র মোঃ রাশেদুল ইসলাম সুইট-এঁর সভাপতিত্বে অনুপ কুমার রায় লিটন-এরর সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাটগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু পূর্ণ চন্দ্র রায়, পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন লিপু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাটগ্রাম পৌর শাখার সভাপতি মোঃ কাদের এলাহী লাভলু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতারুল ইসলাম সুমন, পাটগ্রাম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রধান। এ সময় সোনালী ব্যাংক পিএলসি পাটগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক সুমন কুমার দাস, পাটগ্রাম টিএন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব তোজাম্মেল হোসেন, পাটগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মামুন শুভ, পাটগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক যুগের পত্রিকার প্রতিনিধি এস আই সবুজসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশের সকল নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করেছে সরকার। পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদা দাতা। দেশের মানুষের জন্য চার ধরনের পেনশন স্কিমের বিধান রেখে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা জারি করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগ থেকে জারি হওয়া এই বিধিমালায় ‘প্রবাস’, ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’ ও ‘সমতা’ নামে চার ধরনের পেনশন স্কিম চালুর কথা বলা হয়েছে। এসব স্কিমের চাঁদার কিস্তি পছন্দ অনুযায়ী মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা যাবে। চাঁদা দেওয়ার সময়ের ভিত্তিতে চারটি স্কিমের জন্যই মাসিক চাঁদার পরিমাণ এবং পেনশনের পরিমাণ আলাদা আলাদাভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পেনশন স্কিমে অংশ নিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরাও এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।
পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র মোঃ রাশেদুল ইসলাম সুইট
বলেন, সরকার সর্বজনীন যে সকল পেনশন স্কিম চালু করেছে, তার মধ্যে বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানরতদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম চালু করেছে। তাছাড়া কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিদের জন্য সুরক্ষা স্কিম এবং দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা যাদের আয় সীমা বছরে সর্বোচ্চ ৬০হাজার টাকা, তাদের জন্য সমতা স্কিম চালু করেছে। এসব পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক নিবন্ধন করতে পারবেন। স্কিমে অংশ নেওয়ার তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ১০বছর চাঁদা দিতে হবে। ১০বছর চাঁদা দেওয়া শেষ হওয়ার পর থেকে আজীবন পেনশন পাবেন চাঁদাদাতারা। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিরাও সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করে পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।