জন্ম থেকেই সুফিয়া (৫০) শারিরীক প্রতিবন্ধী। লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রামে ভাইয়ের বাড়িতে বসবাস করছেন তিনি। তার বাবা-মা এবং স্বামী-সন্তান নাই। তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধীতা নিয়ে এতোদিন ভিক্ষা বৃত্তি করেই চলতেন। বর্তমানে তিনি শারীরিক ভাবে অক্ষম। পায়ের উপর ভর করে আর চলতে পারছেন না?
শারীরিক অক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জীবন চালাতে বাধ্য হয়েই সুফিয়াকে প্রতিদিন রাস্তায় বের হতে হয়। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলা বনগ্রাম, কোদালখাতা, ভাটিবাড়ীসহ কিছু কিছু এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করেন। একাজে তাকে সহায়তা করেন আর এক ভিক্ষুক। কিন্তু সুফিয়া আগের মতো হাটতে না পারায় তাকে আর সঙ্গে নিতে পারেন না তিনি।
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক সুফিয়া বলেন, আমার সংসারে আয়-রোজগার করার জন্য আর কেউ নেই। তাই এই প্রতিবন্ধীতা স্বত্ত্বেও পথে নামতে হয়। কিন্তু বয়সের ভারে যেখানে আমার চলাই কঠিন হয়েছে। আমার চলতে খুব কষ্ট হয়। যদি একটা হুইল চেয়ার থাকতো তাহলে আমার এই কষ্ট একটু লাঘব হতো।
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক সুফিয়া বলেন, শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে আমাকেই রাস্তায় নামতে হয়। প্রতিদিন যা পাই তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে পরে বেঁচে আছি। আমার নিজের চলার ক্ষমতা নেই। আমার চলাচলের জন্য একটা হুইল চেয়ার দরকার। কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি এ ব্যাপারে আমাকে সহায়তা করেন, তাহলে সারাজীবন তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকতাম।
তাই সরকারসহ হৃদয়বান মানুষের কাছে একটি হুইল চেয়ার ও আর্থিক অনুদান কামনা করেছেন তিনি।