লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় ইরি-বোরো ধানক্ষেতের পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের এবং সাফল্য পাচ্ছেন কৃষকরা।
এ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার কমেছে। এতে করে কমে আসছে ফসলের উৎপদন ব্যয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ধানক্ষেতে গাছের ডাল, বাঁশের কইঞ্চা পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা তৈরি করেছেন কৃষকরা। এসব ডাল ও বাঁশের কইঞ্চায় বসে থাকা পাখি মাঝে মাঝে উড়ে গিয়ে পোকা শিকার করছে। এতে পোকা দমনের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাও পাচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী ও কোদালখাতা গ্রামের শ্রী কমল কান্তি রায় বলেন, পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিতে আর কীটনাশক দিতে হচ্ছে না। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। এতে কীটনাশকের ব্যয় কমছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ধানের জমিতে পোকা দমনে পার্চিং করুন, বিষ মুক্ত নিরাপদ ফসল উৎপাদন করুন।
কৃষি বিভাগ জানান, লালমনিরহাটে চলতি মৌসুমে ৮০হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।