লালমনিরহাটের সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন কবি ও সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির।
লালমনিরহাটের বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন হেলাল হোসেন কবির। লালমনিরহাটের সমস্যা নিয়ে কখন লিখেছেন কলম দিয়ে আবার কখনও বা নেমেছেন আন্দোলনে অথবা মানববন্ধনে। তিনি লালমনিরহাটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ১২ দফা দাবি আদায় এর জন্য সামাজিক আন্দোলনে নেমেছেন। অতিক্রম সংগঠনের এই আন্দোলন লালমনিরহাটের মানুষের প্রাণে সঞ্চিত শক্তিতে রূপ নিয়েছে।
হেলাল হোসেন কবির লালমনিরহাট সদরের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকড়া ঢঢ গাছ গ্রামের সন্তান। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতি সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে তার লেখা জাতীয় আর্কাইভে বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। এছাড়াও সামাজিক সংগঠন অতিক্রম এর আহবায়ক, লেখক পরিষদের সদস্য সচিব, প্রতিভা ছাত্র সংঘের সাধারণ সম্পাদক, একাত্তরের আঘাত দালাল নির্মূল কমিটি’র গণমাধ্যম সম্পাদক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এর প্রকাশনা সম্পাদক, রত্নাই থিয়েটারের সদস্য, স্বর্ণামতি নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্রের সদস্য, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সদস্য, সাহিত্য পরিষদের সদস্য, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ফোরাম এর সদস্য ও সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবক পরিষদের সাথে জড়িত রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
হেলাল হোসেন কবির গত ৫ম (২০১৯ সাল) উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে গেছেন। তিনি আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
হেলাল হোসেন কবির বলেন, ইনশাআল্লাহ, যদি লালমনিরহাট সদর উপজেলাবাসী আমাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি সদর উপজেলার প্রতিটি মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো। যাতে এ এলাকায় সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোয়া ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে লালমনিরহাট উন্নয়নের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে জোড়ালো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবো। তিনি সকলের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগীতা কামনা করেন।
জানা গেছে, তরুণ এই মানুষটি বহুদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের কথা পত্রিকায় লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন সকলের কাছে। সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখ নিয়ে বেশ জোড়ালো সাংবাদিকতায় মেথে থাকেন হেলাল হোসেন কবির। যার কারণে কয়েকবার নিজেকেই খবরের শিরোনাম হতে হয়েছিলো। টাকার কাছে নিজের পেশাকে বিক্রি না করে প্রতিবেদন করেছেন শক্ত হাতে। এমন কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ২০১২ সালে ১৭ ডিসেম্বর রাতে সন্ত্রাসীরা তাকে জবাই করে ফেলে রেখে যায়। মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে, তিনি বেঁচে গেছেন। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো যেন তার হৃদয়ে গেঁথে গেছে। বিভিন্ন ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চলছেন তিনি।
সংবাদ পত্রের মাধ্যেমে নারী ও শিশু নির্যাতন হ্রাসকরণ অসামান্য অবদান রাখার কারণে হেলাল হোসেন কবিরকে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও রূপান্তর (এনজিও) যৌথ ভাবে গার্ল পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় বালিকা ও যুবনারী সম্মেলনে- বেস্ট রিপোর্টাস এ্যাওয়ার্ড ২০১৫ প্রদান করেন, কবি হিসেবে জেলা সাহিত্য মেলা ২০২২ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক তাঁকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে এবং বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কর্তৃক সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে গুণীজন সম্মাননা ২০২২ প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িত থেকে কাজের মাধ্যমে ছুটে চলা ও সমাজের বিভিন্ন দাবি নিয়ে মানববন্ধন করে আসছেন দীর্ঘদীন থেকে।