শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা
লালমনিরহাটে হলুদ গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্বর্ণলতা

লালমনিরহাটে হলুদ গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্বর্ণলতা

প্রকৃতিতে সৌর্ন্দয্য বাড়িয়ে তোলা লতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- স্বর্ণলতা বা আলোকলতা। শুধুমাত্র সৌন্দর্য্য ছড়ানোই নয়, ঔষুধের গুণাবলিও রয়েছে এ লতার। একটা সময় প্রায় সব জায়গায় এই আলোক লতা দেখা যেতো। এ লতাকে চেনে না এমন কোনো মানুষ নেই। কিন্তু এর নাম যে আলোক লতা তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।

 

কাঁটা জাতীয় কুল গাছই মূলত এর প্রধান আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়াও সরেয়া/ সওড়া গাছের ডালে আলােক লতা দেখা যায়। এক সময় গ্রামীণ পথের ধারে গাছে গাছে জালের মতো বিস্তার করতো এ আলোক লতা। কিন্তু দিনের পর দিন ধরে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এ লতা।

 

মাঘের শিশির ভেজা মৃদু বাতাসে লালমনিরহাট জেলায় হলুদ রঙের গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আলোক লতা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি গ্রামের পাঁকা সড়কের পাশে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঝুড়ি ঝুড়ি হলদে সুতা ঝুলে আছে। এর উপরে রোদ পড়লে চকচক করে। গ্রামে এখন খুব কমই দেখা যায় এই আলোক লতা।

 

শিবেরকুটি গ্রামের মোঃ রেজাউল করিম বলেন, লােকমুখে শুনেছি আলোক লতায় ঔষুধি গুণ আছে। মোটা লতা পিত্তজনিত রোগে, সরু লতা দুষিত ক্ষতে, ডায়াবেটিস ও জন্ডিস এবং বীজ কৃমি রােগ নিরাময়ের জন্য খাওয়ানো হতো। খোশপাঁচড়া রােগ নিরাময়েও ব্যবহার করা যায়। তবে বর্তমানে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। কারণ, এই আলােক লতা সব জায়গায় পাওয়া যায় না।

 

স্থানীয় মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ শরিফুল ইসলাম ও মোঃ সবুজ জানান, আলোক লতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। গাছেই এর জন্ম, গাছেই এর বেড়ে ওঠা ও বংশ বিস্তার। কোনো পাতা নেই, লতাই এর দেহ-কাণ্ড-মূল। সোনালী রং এর চিকন লতার মতো বলে এইরূপ নামকরণ।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, জীবন্ত গাছে জন্ম নিয়ে অলৌকিকভাবে পরগাছকে অবলম্বন করেই টিকে থাকে আলোক লতা। যেই গাছে জন্মায় সেই গাছের ডাল ও কাণ্ড থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে। প্রাকৃতিক ভাবে বংশ বিস্তার করে থাকে। পৌষ ও চৈত্র মাসে এই লতা বেড়ে উঠে ও জালের মতো বিস্তার ঘটায়। দেশে সর্বত্রই আলোক লতার জন্য উপযোগী আবাসস্থল। ফলে নির্ভরশীল গাছে আপন মনে জন্মায় আলোক লতা। এখন আলোক লতার ভরা মৌসুম। জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠার জন্য এর ডগা উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone