পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশে কুকুর নিধন বন্ধ থাকায় লালমনিরহাট শহরে বর্তমানে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে।
লালমনিরহাট পৌরসভায় শেষ বারের মত ২০১৫ সালের কুকুর নিধন করা হয়। ২০১৫ এবং এর আগের বছর গুলোতে বছরে অসংখ্য কুকুর নিধন করা হতো। পরিবেশবাদীদের হাইকোর্টে রিটের কারণে কুকুর নিধন কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়। কুকুর নিধন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত ৯বছরে লালমনিরহাট পৌরসভায় কুকুরে সংখ্যা বেড়েই চলছে। দিন দিন বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কুকুর আতংক বিরাজ করছে। বর্তমান সময়টা কুকুরের প্রজনন সময়। এই সময়ে কুকুরেরা দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করে এবং কিছুটা আক্রমনাত্মক স্বভাবের হয়। এই সময় একটুতেই পথচারির উপর আক্রমন করে এবং কামড়ে দেয়। কুকুরের কামড়ে যাতে কোন মানুষের জলাতঙ্ক রোগ না হয় সেই জন্য কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সিদ্ধান্ত আর বাস্তবে রূপান্তরিত হয়নি। ফলে অনিরাপদ রয়েই যাচ্ছে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো। কুকুরে কামড়ানো রোগির সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও সরকারিভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ একে বারেই নেই বললেই চলে।