শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা
বন্যা স্থায়ী রুপ নিচ্ছে : চতুর্থ দফায় তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

বন্যা স্থায়ী রুপ নিচ্ছে : চতুর্থ দফায় তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: আজ শুক্রবার ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাট জেলায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ২৮সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষনের কারনে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি চতুর্থ দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী ২টি রুদ্ধমূর্তি ধারণ করেছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর প্রায় ৫০টি চর ও দ্বীপ চরে প্রায় ২৫হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েক দফায় পানি উঠায় তারা হতাশা ও নিদারুন কষ্টে পড়েছে বানভাসি মানুষ গুলি।

 

জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ৮৮সেন্টিমিটর। যা (স্বাভাবিক ৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটার) বিপদসীমার ২৮সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তার তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষরা গেল দুই সপ্তাহে তৃতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে। পুনঃরায় চতুর্থ দফায় আজ শুক্রবার ১০ জুলাই তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমা পেরুলে জেলায় বন্যা স্থায়ী রুপ নিয়েছে। তিস্তা ও ধরলা খুবেই খর স্রোতা নদী। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গণ। ইতোমধ্যে চতুর্থ দফায় কয়েক দিনে প্রায় ৩শতাধিক পরিবারেরর ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪মেইন গেট ও ৯টি ক্যানেলের গেট খুলে পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবুও তিস্তা ব্যারেজ পানির শক্তিশালী তোড়ে থর থর করে কাঁপছে। সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে বাইপাস সড়কটি। পানির তোড় একটু বেশী হলে ভাটিতে সর্তকতা জারি করে বাইপাস সড়কটি কেটে দেয়া হতে পারে।

 

তিস্তা ও ধরলার তীরবর্তী ৫টি উপজেলার প্রায় ২৫হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, দূর্গাপুর, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তি নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৫হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

 

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি প্রবাহ শুক্রবার চতুর্থ দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone