আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ৪নং সারপুকুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক বয়স্ক ওও বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
গত সোমবার ৬ জুলাই দুপুরে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ৩জন ভুক্তভোগী।
জানা গেছে, উক্ত ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে তা ধামাচাপা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন সেই ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বয়স্ক ও বিধবা ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা করতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নামে একটি প্রকল্প চালু করে। প্রকল্প চালু হওয়ার পর ভাতা ভুক্তদের তালিকা করে প্রতি মাসে ৫শত টাকা হিসাবে ৩মাস পর পর তাদের প্রাপ্য ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
সুবিধাভোগীদের প্রত্যেককে ১টি করে পাশ বহিঃ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট আদিতমারী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়। এ ক্ষেত্রে ইউপি সদস্যরা পাশ বহিঃ সংগ্রহ করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বিতরণ করেন। কিন্তু আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম তার ওয়ার্ডের সকলের পাশ বহিঃ সংগ্রহ করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন এবং ১৫-২০জনের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
আরও জানা যায়, আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত চাইলে কাউকে আংশিক, কাউকে ১কেজি মাংস কিনে দেন এবং ১৫-২০জনকে কিছুই দেননি ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
এদের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের আফতাব উদ্দিন দুলাল, শৈলবালা ও দেবন্দ্রনাথ নামে ৩জন ভুক্তভোগী তাদের আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত এবং বিচার চেয়ে গত সোমবার ৬ জুলাই আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ব্যাংক থেকে কেন ইউপি সদস্যদের হাতে টাকা প্রদান করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে ভেলাবাড়ি কৃষি ব্যাংক কার্যালয়কে শোকজ পত্র পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে জানান, আদিতমারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রওশন মন্ডল।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, ব্যক্তি বা নমিনী ছাড়া অন্য কাউকে ভাতার অর্থ প্রদান করার নিয়ম নেই।