১৬, লালমনিরহাট-০১ (পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা) আসনের হাতীবান্ধা উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণার প্রতীক নৌকায় আগুন লাগার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় নৌকায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬, লালমনিরহাট-০১ (পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা) আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোতাহার হোসেন এমপি। এ আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে প্রচারণা করছেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য মোঃ আতাউর রহমান প্রধানসহ কয়েকজন প্রার্থী।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রচার-প্রচারণায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৌকার প্রার্থীর পিএস আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল উস্কানি ও হুমকির বক্তব্যে একাধিকবার আদালতের তলব পেয়েছেন। নৌকার বাইরে কাউকে তার ইউনিয়নে ঢুকতে দেবেন না বলে দেয়া বক্তব্য ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। এ কারণেই উত্তেজনা এবং আতঙ্ক বেড়েছে এ আসনের নির্বাচনে।
এ আসনের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের হাটখোলা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আতাউর রহমান প্রধানের ঈগল প্রতীকের একটি নির্বাচনী অফিস রয়েছে। যা ইতিপুর্বে ভাংচুর ও প্রার্থীর ওপর হামলা করে আদালতের তলব পেয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সেই অফিসের সামনে কাঠ ও কাপড় দিয়ে প্রতীকী নৌকা তৈরি করে সাঁটানো হয়। সেই প্রতীকী নৌকা কে বা কারা রাতের আঁধারে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। শনিবার সকালে এ দৃশ্য দেখে একে অপরের ওপর দোষারোপ করছেন।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী মোঃ মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের দাবি নৌকার জনপ্রিয়তায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন ভীত হয়ে নৌকা প্রতীকে আগুন দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি আতাউর রহমান প্রধানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের লোকজন যখন আমাদের অফিসের গেটে নৌকা তুলে তখনই আমরা অভিযোগ করেছি, তারা নিজেরা নিজেদের প্রতীকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের হয়রানি করবেন। আজ তাই হলো। আমরা না, তারা নিজেই আগুন দিয়েছে তাদের প্রতীকে।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।