১৮, লালমনিরহাট-০৩ (লালমনিরহাট সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের হামলায় জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) প্রতীকের ১৪জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা শহরের আলোরুপা মোড়ে জাতীয় পার্টি লালমনিরহাট জেলা শাখার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, লালমনিরহাট পৌর ছাত্র সমাজের মেহেদি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক, ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি রাকিব, লালমনিরহাট জেলা ছাত্র সমাজের সদস্য রবিউল, রাশেদুল, লালমনিরহাট পৌর ছাত্র সমাজের ১নং ওয়ার্ডের ফরিদুল, ৯নং ওয়ার্ডের আল আমিন, সদস্য মুরাদ, অন্ত, সাগর, শামছুল ইসলাম শাহিন ও মাসুদ।
জানা যায়, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে মাদ্রাসার শিক্ষক যাঁরা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সঙ্গে ১৮, লালমনিরহাট-০৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মতিয়ার রহমান মতবিনিময় করেন। এমন একটি খবর নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে অবগত করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ জাহিদ হাসান। পরে স্বশরীরে বিষয়টি দেখতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে যান লাঙ্গলের প্রার্থী মোঃ জাহিদ হাসান।
প্রথমে তাকে বসতে দিলেও পরক্ষণে গালমন্দ করা হলে তিনি নিজ দলের কার্যালয়ে ফিরে আসেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে বসে বিষয়টি মোবাইলে নেতা-কর্মীদের অবগত করছিলেন মোঃ জাহিদ হাসান। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ওই কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন লাঙ্গলের প্রার্থী মোঃ জাহিদ হাসান। হামলায় জাতীয় পার্টির ১৪জন নেতাকর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আহতদের কয়েকজনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে লালমনিরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, তারা দোকানদার-দোকানদারে মারামারি করেছে। এটির সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ জাহিদ হাসান অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করছিলেন নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা। বিষয়টি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে অবগত করে কোন কাজ না হওয়ায় নিজেই গিয়েছি সেই মিটিংয়ের খবর নিতে। সেখানে আমাকে লাঞ্চিত করা হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে চলে আসলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে জাপার ১৪জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। এদের মধ্যে ৫জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।