লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের এমপি ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ১৫ বছরে (স্থাবর ও অস্থাবর) সম্পদ বেড়েছে ২৮দশমিক ১৭গুণ! এবং একই সময়ে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ দশমিক ৭০গুণ!
২০০৮ সালের নবম ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য লালমনিরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দলীয় (আওয়ামী লীগের) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া মোতাহার হোসেনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের দলীয় মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় ১৩লাখ ৯৭হাজার ৬শত ৩০টাকার সম্পদের (অস্থাবর ও স্থাবর) হিসাব দিয়েছিলেন। এর ১৫বছর পরে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি ৩কোটি ৯৩লাখ ৮১হাজার ৭শত ৮৬টাকার সম্পদের (অস্থাবর ও স্থাবর) হিসাব দিয়েছেন। এ হিসেবে বিগত ১৫বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ২৮দশমিক ১৭গুণ!
২০০৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী মোতাহার হোসেনের বার্ষিক আয় ছিলো ১লাখ ৩০হাজার টাকা। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৩৩লাখ ৪১হাজার ২শত ৩৮টাকা। এ হিসেবে ২০০৮ সালের চেয়ে ২৫দশমিক ৭০গুণ বার্ষিক আয় বেড়েছে ২০২৪ সালে মোতাহার হোসেনের।
২০০৮ সালের হলফনামায় মোতাহার হোসেন নগদ ৮৫হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে নগদ ২৫হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে ৩হাজার ৬শত ৩০টাকা, ৬লাখ ৬০হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি, ৪০হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ৪০হাজার টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ১৫হাজার টাকা মূল্যের আসবাব পত্রসহ ৮লাখ ৬৮হাজার ৬শত ৩০টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখান।
একই সালের (২০০৮) হলফনামায় মোতাহার হোসেন নিজ নামে ৭০হাজার টাকা মূল্যের ৬দশমিক ৩১একর কৃষি জমি, ৮২হাজার টাকা মূল্যের শূন্য দশমিক ৫৪একর অকৃষি জমি, ১লাখ ৫০হাজার টাকা মূল্যের দুটি আধা পাকা ঘর, এবং ৭০হাজার টাকা মূল্যের একটি আধা পাকা বাসাসহ মোট ৩লাখ ৭২হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ দেখান।
একই হলফনামায় মোতাহার হোসেন তার স্ত্রীর নামে ৭২হাজার টাকা মূল্যের ৭দশমিক ১২একর কৃষি জমি এবং ৮৫হাজার টাকা মূল্যের শূন্য দশমিক ৬২একর অকৃষি জমি দেখান।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামায় মোতাহার হোসেন অস্হাবর সম্পদ হিসেবে নগদ ২৫লাখ ৭৬হাজার ৭শত ৬৪টাকা, ১কোটি ৪৯লাখ ৮৯হাজার ২শত ২২টাকা মূল্যের গাড়ি, ৪০হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ১লাখ ৯৯হাজার ৩০০টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এবং ১লাখ ২০হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র দেখিয়েছেন।
একই হলফনামায় তিনি স্থাবর সম্পদ হিসেবে ২০লাখ ৭০হাজার টাকা মূল্যের ৭দশমিক ২১একর কৃষি জমি, ১লাখ ৮২হাজার টাকা মূল্যের শূন্য দশমিক ৫৪একর অকৃষি জমি, ১কোটি ৭২লাখ ৪হাজার ৫০০টাকা মূল্যের দালান (আবাসিক/ বাণিজ্যিক) এবং ২০লাখ টাকা মূল্যের রাজুক প্লটের কথা উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে মোতাহার হোসেনের (স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য ২কোটি ১৪লাখ ৫৬হাজার ৫০০টাকা।
মোতাহার হোসেনের ২০০৮ সালের হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ১লাখ ৩০হাজার টাকা। যার মধ্যে কৃষি খাত থেকে ২৪হাজার টাকা এবং ব্যবসা খাত থেকে ১লাখ ৬হাজার টাকা আয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় মোতাহার হোসেনের বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে মোট ৩৩লাখ ৪১হাজার ২শত ৩৮টাকা। যার মধ্যে রয়েছে ৩লাখ ১৬হাজার ৬শত ২০টাকা কৃষি খাত থেকে, ২লাখ ৮৫হাজার ৬০০টাকা বাড়ি/ এপার্টমেন্ট/ দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে, ২০লাখ টাকা ব্যবসা থেকে, ৬লাখ ৬০হাজার টাকা চাকরি থেকে এবং অন্যান্য খাত থেকে ৭৯হাজার ১৮টাকা (সুদ)।
লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের এমপি ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এসে যে সম্পদ ও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত দাখিল করা হলফনামায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.