দেশের উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলার মানুষ। গত কয়েকদিনের শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল ৮টা থেকে ঘন কুয়াশা কেটে গেলেও সন্ধ্যার পড়ে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় রাস্তা-ঘাট। তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে লালমনিরহাটে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত নানা রোগব্যাধি।
গত কযেক দিনে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াম, হাঁপানি, অ্যাজমা, হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তর ব্যক্তিরা।
এ শীতে লালমনিরহাটে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে ১৩টি নদ-নদী তীরবর্তী ৬৩টি চরের প্রায় কয়েক হাজার মানুষসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। সেই সাথে গোবাদীপশুও রেহাই পাচ্ছে না শীতের প্রকোপ থেকে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা ও ফুলগাছ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার খেটে খাওয়া মানুষরা কাজকর্ম না পেয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা, ধরলা ও রত্নাই নদীর তীরবর্তী এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ কাজকর্ম না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
শীতে তিস্তা, ধরলা ও রত্নাই নদীর পাড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রেল স্টেশনসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পোহাচ্ছে। শীতার্ত মানুষগুলো এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য তাকিয়ে আছেন সমাজের বিত্তবানদের দিকে।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারি ও বেসরকারী ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়নি।