শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ
ওসির নামে নারীর কাছে অর্থ নিয়ে মামলা দায়েরে জালিয়াতি : কথিত পুলিশের সোর্স মাদক ব্যবসায়ী লিটন মুন্সী আটক

ওসির নামে নারীর কাছে অর্থ নিয়ে মামলা দায়েরে জালিয়াতি : কথিত পুলিশের সোর্স মাদক ব্যবসায়ী লিটন মুন্সী আটক

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলা সদর উপজেলার মোগলহাট সীমান্তের  কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, নানা অপকর্মে হোতা পুলিশের সোর্সের পরিচয়ে নাজির হোসেন ওরফে লিটন মুন্সী (৩৫) লালমনিরহাট সদর থানার ওসির নামে এক নিরীহ নারীর কাছে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় পুলিশ গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে। এ ঘটনায় মোগলহাট সীমান্ত গ্রামে নিরীহ গ্রামবাসীরা আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করেছে।

 

আজ মঙ্গলবার মোগলহাটে বেড়িয়ে আসছে লিটন মুন্সীর নানা অপকর্মের চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের ভূমিকায় ও পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার প্রশংসায় ভাসছে গ্রাম।

 

জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলা লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বাকশিটারী গ্রামের জনৈক নারী তার স্বামীকে তালাক দেয়। এই ঘটনায় স্বামীর স্বজনরা তাকে নির্মম ভাবে প্রহার করে। এতে মেয়েটির রক্তাক্ত জখম হয়। তিনি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করতে লালমনিরহাট সদর থানায় যায়। সেখানে একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হাডুর ছেলে নানা অপকর্মে হোতা, মাদক ব্যবসায় ও উগ্রপন্থি মতবাদে বিশ্বাসী নাজির হোসেন ওরফে লিটন মুন্সী ওই নারীর কাছ হতে মামলার এজাহার কৌশলে নিয়ে নেয়। লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা রেকর্ড করতে ওসিকে অর্থ দিতে হবে বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। লিটন মুন্সী নারীর দায়ের করা মামলার আসামীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছ হতে মোটা অঙ্কের টাকা ওসির নাম করে হাতিয়ে নেয়। পরে উক্ত নারীর দায়ের করা মূল এজাহার লালমনিরহাট সদর থানায় না দিয়ে ওই প্রতারক লিটন মুন্সী নিজে একটি মন গড়া এজাহার লিখে তাতে উক্ত নারীর স্বাক্ষর জাল করে লালমনিরহাট সদর থানায় রেকর্ড করায়। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করলে ভুক্তভুগী নারী বিষয়টি জানতে পারে। তিনি গত সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানাকে বিষয়টি খুলে বলে ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ফলে পুলিশ লিটন মুন্সীকে জালিয়াতির অপরাধে আটক করে ওই দিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে পাটায়। এই ঘটনাটি সীমান্ত গ্রাম মোগলহাটে পৌচ্ছালে এই প্রতারক ও সন্ত্রাসী লিটন মুন্সীর নানা ভাবে যাদের এতোদিন হয়রানি করেছে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তারা মোগলহাটে আনন্দে একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ায়। এখন মোগলহাটে লিটন মুন্সী অসৎ কিছু পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে নানা অপকর্ম করার ঘটনা সাধারণ মানুষের মুখে মুখে প্রচার হচ্ছে।

 

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, কে লিটন মুন্সী তাঁকে আমরা চিনি না। তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল ও প্রতারনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভুগী কোন পরিবার তার বিরুদ্ধে হয়রানিসহ কোন অভিযোগ করলে সেটাও গ্রহণ করে আইনি ব্যবসা নেয়া হবে।

 

পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, নাজির হোসেন লিটন মুন্সীর নামে নানা গুরুতর অপরাধে জড়িত সম্পর্কে মৌখিক তথ্য আছে। কিন্তু কেউ অভিযোগ না করায় ও তথ্য প্রমাণ পুলিশের হাতে না থাকায় তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করা যায়নি। এখন অভিযোগ পেয়েছি তাকে শাস্তি দিতে পুলিশ ভূমিকা রাখবে। লিটন মুন্সী যাতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে না পারে পুলিশের সর্তক দৃষ্টি থাকবে।

 

কে এই লিটন মুন্সী:

 

নাজির হোসেন ওরফে লিটন মুন্সী নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সীমান্ত গ্রামটিতে অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলে ছিল। মাদক অস্ত্র নিরীহ মানুষের বাড়িতে রেখে কথিত অসৎ পুলিশ ও ডিবি পুলিশ দিয়ে মানুষকে গ্রেফতার করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে আসছিল। অনেককে সে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। অনেকে তার হয়রানি ও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছে। তার এখানে বাড়ি নয়। প্রায় ১৮বছর পূর্বে মোগলহাটে মুগির মাংসের ব্যবসা করতে আসে। ধুরন্দর লিটন মুন্সী সীমান্ত গ্রামের অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ে। অবৈধ অস্ত্র, মাদক, গরু পাচারসহ নানা অপকর্ম করে আসে। সব সময় তার মোটর সাইকেলে ১টি বিশেষ ধরণের লাঠি থাকত। সে উগ্রমৌলবাদী চক্রের সাথে জড়িত থাকার তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে। তার অপকর্ম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তাকে প্রতারণায় গ্রেফতার করায় অনেক পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের তথ্য মাঠে প্রচার পাচ্ছে। সে সব পুলিশ কর্মকর্তাগণ তাকে বাঁচাতে ও নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এসপির সৎ ভূমিকায় আতঙ্কে আছে পুলিশের অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারি গণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone