শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে
ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কুঁড়ে ঘর বিলুপ্তির পথে

ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কুঁড়ে ঘর বিলুপ্তির পথে

লালমনিরহাটে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খর-কোটার ছাঊনি দিয়ে তৈরি করা ঘর এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এক সময়ে লালমনিরহাটে বসবাসের প্রধান ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই সব কুঁড়ে ঘর। গ্রামের সাধারণ নিম্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চ শ্রেণির মানুষেরাও ব্যবহার করতেন এই ঘরগুলো। এক সময় গ্রামে সাধারণত কুঁড়ের ঘরের তুলনায় ইট কিংবা টিনের ঘর ছিল খুবই কম কিন্তু আজ তা কালে আবর্তে সম্পূর্ণ বিপরীত। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কুঁড়ে ঘর এখন চোখে পড়ে খুবই কম। শ্রমজীবী মানুষেরা ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে নিপুন হস্তে তৈরি করতো এই কুঁড়ে ঘর।

 

যারা এই ঘর তৈরি করতে পারদর্শী তাঁদেরকে বলা হয় ছাপরবান। অত্যন্ত আরাম প্রিয় এই ঘরগুলো গরম কালেও ঠান্ডা এবং শীতকালেও এর ভিতরে বেশ গরম অনুভব হতো। আধুনিক যুগের আর্বতে এখনও সেই গ্রামীণ ঐতিহ্যের ঘরের খোঁজ পাওয়া গেছে।

 

সরেজমিনে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের এক বাড়িতে এখনও ১টি কুঁড়ে ঘর দেখা গেছে।

 

তবে খরের অভাবে এ ঘরগুলি এখনও ছাউনি দিতে পারছেনা। আগে তো অনেক কৃষক বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করতো। ফলে শক্ত ও মজবুত খর হতো। বছরের একবার চাউনি দিলে অনন্ত ছয় মাস চলে যেতো। আবার পুরাতন ঐ খর দিয়ে প্রায় দুমাসের রান্নার কাজ সাড়া যেতো। কিন্তু ঐসব ধান এখন চাষ করা হয়না।

 

ওইসব ধানের খর পাওয়া যায় না। ফলে খরের অভাবে এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে এসব ঘরগুলি ছাউনির জন্যে। তবে অত্যন্ত আরামদায়ক এসব ঘরের মাঝে থাকতে। পাশাপাশি ঘরটিকে সংরক্ষিত রাখতে বাঁশের প্রয়োজন হয়। বাঁশতো আগের তুলনায় অনেক কম। সরকারের উচিত গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ ঘরগুলির অস্বিত্ব রক্ষা করা।

 

ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী বলেন, এক সময় সর্বস্তরের থাকার জায়গার উৎসস্থল ছিলো খর কোটার ঘর। সময়ের পরিবর্তনে দালান কোটার আড়ালে এখন নিষ্প্রভ খর কোটার কুঁড়ে ঘর। ঐতিহ্যের অংশকে আকঁড়ে ধরে রাখতে সকলের এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone