লালমনিরহাটে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থেকেই কেয়ার টেকার বাদে ও সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে আগামী ২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য করার জন্য একটি চমৎকার সলিউশনের ফর্মুলা অবহিত করণের লক্ষ্যেই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১টায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শিক্ষক মোঃ সরওয়ার মোরশেদ-এঁর আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শিক্ষক মোঃ সরওয়ার মোরশেদ। এ সময় লালমনিরহাটের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শিক্ষক মোঃ সরওয়ার মোরশেদ বলেন, আমি এই দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থেকেই কেয়ার টেকার বাদে ও সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে আগামী ২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য একটি চমৎকার সলিউশনের ফর্মলা অবহিত করণের লক্ষ্যেই সকল প্রিন্ট মিডিয়া, সোসাল মিডিয়া এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের দ্বারা দেশবাসির সম্মানিত ১৭কোটি জনগণসহ বিশেষ করে আন্দোলনরত সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোন পক্ষ এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদেরকে একটি চমৎকার ফর্মুলা আজ বলতে নয় বরং সকল দলকে বিনয়ের সহিত এই ফর্মুলাটি জানার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আবেদন জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থেকেই হয়ত নির্বাচন করবেন। আইনের বাহিরে গিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে যাবেন না। তাহলে সরকার ও বিরোধী দলের মাঝে সমঝোতা কি করে হবে? এখন পৃথিবীর পরিবর্তন এসেছে, মানুষের, সমাজের, বিশ্বের, রাষ্ট্রের, মানসিকতার বিবেকের অর্থাৎ বলতে গেলে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। তাই সরকারকে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে হলেও ভোট প্রদান, ক্ষমতা হস্তান্তরসহ রাষ্ট্রের কিছু কিছু আইনের ছোট-বড় অংশের পরিবর্তন আনতেই হবে।
তিনি বলেন, তাই আমি বলবো বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থেকেই খুব সহজেই সবাই মেনে নিবেন এবং একটি রাজনৈতিক সলিউশনের ফর্মুলা প্রয়োগে সংসদের ছোট্ট একটি আইন পাশ করলেই এবং ঐ আইন ব্যবহারের জ্ঞাতার্থে সর্ব সাধারনকে গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে। তাতেই এই সলিউশনের ফর্মুলার কারনেই দেখবেন বিরোধী রাজনৈতিক দল কেন? সরকারসহ সর্ব সাধারন মিলে সকলে মেনে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আসতে চাইবেন।
তিনি বলেন, আমার ফর্মুলাটি যদি সরকার ও বিরোধী দল গ্রহণ করেন তবে দেশের প্রতিটি ভোটার ভোটদানের স্থায়ী নিরাপত্তা খুজে পাবে। এবং আজীবনের জন্য ক্ষমতায় থেকে এই দেশে যে কোন সরকার নির্বাচন করতে পারবেন। কোন দিনই আর কেয়ারটেকার পদ্ধতি লাগবে না।
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলেই যদি অংশগ্রহণ মূলক ও গ্রহণ যোগ্য নির্বাচন হয়। তবে, নির্বাচনে জনগণকে আনতে এবং সাধারণ জনগনকে ভোট দিতে আগ্রহী করে তুলতে চাইলে। এখনেই, কেয়ারটেকার সরকার বাদেই ক্ষমতায় থেকে কেয়ারটেকারের চেয়ে বেশি ভালো একটি সহজ ফর্মুলার ছোট্ট আইন বর্তমান সরকার পাশ করলেই আগামী ২৪ এর জাতীয় নির্বাচন ১০০% সঠিক হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগেই একটি ফর্মূলা (আপাত ফর্মুলাটি উন্মুক্ত নয়) প্রয়োগে আইনের আওতায় এনে প্রকাশ্যে দেশের সকল জনগণের উদ্দ্যেশে একটি গণ বিজ্ঞপ্তি জানাতে পারেন। ফর্মুলাটি আইন দ্বারা পরিচালিত হবে বিধায়, প্রচলিত আইনের আওতায় সাধারণ জণগনের ৭০% বেশি ভোটার জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
এবং কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি লাগবে না, ফলে ১৭কোটি মানুষের মাঝে স্থিরতার ভাব ফিরে আসলেও আসতে পারে। প্রকাশ থাকে যে, তফসিল ঘোষানা করার পর এই ফর্মুলাটি ব্যবহারে চিত্র বদলে দিবে কিনা, তবে ফর্মুলাটি এখন ও আগামীর জন্য পুরো কাজে লাগতে পারে এবং গণতন্ত্রের উন্নয়নের স্বার্থেই সব পক্ষ মেনে নিবেন আশা করি।
ফর্মুলাটি জানতে হলে অথবা শুনতে চাইলে বর্তমান সরকারের উদ্ধঃস্তরের পর্যারের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ মহোদয়গ এবং যে কোন পক্ষ অথবা, সুশীল সমাজের কেউ আমার সাথে আলোচনা করতেও পারেন। আবার অবান্তর ভেবে বাদও দিতে পারেন।
আমি কোন রাজনীতির সঙ্গে নাই। নিজের ছোট্ট ও অতি ক্ষুদ্র শিক্ষকতার পেশায় এবং দেশের একজন সাধারণ নাগরিক থেকেও দেশকে ভালোবেসেই একটি ফর্মূলা দিতে চাই! আর তাতেই টিকসই হয়ে উঠতে পারেন দেশ, জনগণ, সরকার ও গণতন্ত্র । (আপাত ফর্মুলাটি উন্মুক্ত নয়) আলোচনান্তে জানা যাবে। হাতে খুব একটা সময় নাই। দ্রুতই শর্তগুলো নিয়ে কথা হলে ফর্মুলাটি উন্মুক্ত করা হবে।
কেউ এই ফর্মুলার আলোচনা এগিয়ে নিতে চাইলে আগে শর্ত গুলি মানতে হবে এমনটিও কিন্তু নয়। এই বারের ২০২৪ইং সনের জন্য ফর্মুলাটি খুবই কাজে আসতে পারে। তবুও পড়ুন এবং অধম এই কারিগরি শিক্ষকের শর্ত গুলো সুশীল সমাজের মেধাবীগনেরাও একটু ভেবে দেখুন-
শর্ত: (ক) দেশের সকল শিক্ষকের মরণোত্তর কালে তাৎক্ষনিক ভাবে সকল স্তরের সরকারি/বেসরকারি ভিসি, প্রভিসি, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অধ্যাপক, প্রভাষক ও শিক্ষকদের জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিরস্ত্রর ভাবে একটু রাষ্ট্রীয় ছালাম জানিয়ে দাফন/সমাহিত/দাহ করার ব্যবস্থা সরকারকেই আগে থেকে ঘোষনা দিতে হবে।
(খ) বাংলাদেশের সকল বেসরকারি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় করণের আওতায় আনার লক্ষে আগামী অর্থবছরে সরকারি করণ করার ঘোষনা দিতে হবে।
(গ) দেশের সরকারি/বেসরকারি সংযুক্ত মাধ্যমিক সহ সকল স্তরের কারিগরির শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্বের সহিত ঢেলে সাজাতে হবে। যাতে করে যে কোন সরকার আগামিতে দেশের বেকারত্বের হার ৫০% কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন।
(ঘ) সারা দেশে সংযুক্ত মাধ্যমিক সহ সকল স্তরের কারিগরির শিক্ষা প্রসারে ব্যাপক প্রচারের কাজটি করার সুযোগ চাই। এবং এই লক্ষে চলমান কাজের জন্য যাতায়তের ব্যবস্থা সহ সার্বিক কিছু ফান্ডের ব্যবস্থা প্রয়োজনে সরকার করেও দিতে পারেন।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.