বিগত ২০১৯ সালে শুরু হয় লালমনিরহাট সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ। বিগত ২০২১ সালের মার্চ মাসে হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু এখনও ২৫ ভাগ কাজ বাকি রয়েছে। তবে কবে নাগাদ এ কাজ শেষ হবে, তা বলতে পারছেন না কেউই। এদিকে উক্ত নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা।
অপরদিকে কাজ শেষ হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল ভার্চুয়ালি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন। এরপর ৬ মাস পেড়িয়ে গেলেও মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি এ মসজিদটি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকজন রাজমিস্ত্রী মসজিদের বাইরের ইট বিছানোর কাজ করছিলেন। বাইরে ইট ও বালুর স্তুপ পড়ে রয়েছে। সীমানা প্রাচীর, ভেতর ও বাইরের সৌন্দর্যবর্ধন, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনসহ অনেক কাজ এখনও বাকি রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে এ বছরেও মসজিদে নামাজ আদায় সম্ভব হবে না।
৪৮ শতক জমির উপর নির্মাণাধীন লালমনিরহাট সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা গ্রামে অবস্থিত। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “সাজিন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড” ১২কোটি ৫৯লক্ষ ৫০হাজার টাকায় এ মসজিদটির কাজ পায়। যা বিগত ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বিগত ২০২১ সালের ২৪ মার্চ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও কাজ শেষ হয়নি। উদ্বোধনের সময় মসজিদের ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়।
অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ কাজ করতে বছর পার করতে চলছে উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ কাজ বাবদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৮কোটি ৫০লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। দ্রুত কাজ সম্পাদনের তাগাদা দিয়ে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট লালমনিরহাট গণপূর্ত বিভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে মর্মে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এর অন্তর্ভুক্ত।