লালমনিরহাটের দুঃখ হয়ে হানা দিচ্ছে ধরলা নদী। আবারও ভাঙ্গতে শুরু করেছে এ নদীটি। সকালে এক রকম, আর বিকালে অন্য রকম চিত্র হওয়ার কারণে ধরলা নদীর পাড়ের সাধারণ মানুষের দুঃখ বেড়েছে। সেই সাথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে ভাঙ্গণ, যার ফলে ধরলা নদী রক্ষা বাঁধটি হুমকির মধ্যে পড়েছে।
লালমনিরহাট জেলা লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙ্গণের ফলে ফসলি জমিজমা চোখের নিমিষেই ধ্বংস হয়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা এলাকার এই ভাঙ্গণের কারণে ইতিপূর্বে আসাদুল, নজরুল, অবিকান্ত, শফিকুল, শাহজাহান ও শহীদসহ আরও অনেকের কয়েক বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে বিগত কয়েক দিনে। এর পরে আবারও বুমকা এলাকার ছয়মাথার পূর্ব পার্শ্বে পাকা রাস্তাও ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে।
উক্ত এলাকাবাসী জানায়, যেভাবে ধরলা নদী ভাঙ্গছে তাতে মনে হচ্ছে বিগত ২০১৭ সালের মতোই বুমকা বাঁধটি ভেঙ্গে যাবে। এ ঘটনা ঘটতে আর বেশি দিন সময় লাগবে না৷ যদি এই বাঁধ ভেঙ্গে যায় আর সামান্য বন্যা হলেই লালমনিরহাটের লোকালয়েও পানি ঢুকতে পারে। ফসলি জমিগুলো নদীর বুকে এখন শত শত বাড়ি ঘর ও ওয়াপদা বাঁধের দিকে এগিয়ে আসছে নদী ভাঙ্গণ।
১নং মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বুমকা গ্রামের ছয়মাথা পয়েন্টের পাকার মাথায় ধরলা নদীর আবারও ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত ভাঙ্গণ প্রতিরোধ করা না গেলে কয়েকটি গ্রামকে হারাতে হবে, তাই কর্তৃপক্ষ খুব তারাতাড়ি এগিয়ে আসা দরকার।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ধরলা নদীর ভাঙ্গণে লালমনিরহাট সদরের কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রাম ও শিবেরকুটি গ্রামে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে একই উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বুদারু এলাকায়ও ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে।