গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে দেশের উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলা।
এ লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে স্থাপিত হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার।
এ ছাড়া সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও সেবা পৌছে দিতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার কাজ শুরু করেছে।
প্রতিটি সেন্টারে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ (মডেম) দিয়ে চালু রয়েছে।
স্থানীয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে মানুষকে তথ্য ও সেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন।
বর্তমানে এসব সেন্টার থেকে মানুষ সেবা নিচ্ছে। প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে আধুনিক প্রযুক্তি। এখন অজপাড়া গা থেকে খুব কম সময়ে ও কম খরচে দেশ-বিদেশে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইন্টারনেট সংযোগসহ অনলাইন তথ্য ভান্ডার যুক্ত হয়েছে ভিডিও, অডিও ও এনিমেশন। এছাড়া টেক্সট ফরম্যাটে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইন ও মানবাধিকার সংক্রান্ত তথ্য। কম খরচে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাণিজ্যিক সেবা। যেমন- ই-মেইল, স্বল্পমূল্যে কম্পোজ, প্রিন্টার, ফটোকপি, ছবি তোলার কাজ চলছে। এসব সুবিধা প্রবর্তনের ফলে লালমনিরহাট জেলার মানুষ এখন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সরকারি ফরম ও কাগজপত্র সংগ্রহ, কৃষি সমস্যা, শিক্ষা, আইনি সহায়তা, মানবাধিকার এবং পরিবেশের তথ্যসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে। জেলা ও উপজেলার কৃষকও বীজ বপন, কাটা-মাড়াই, কীটনাশক, সার-বীজসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্যই এখন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে পাচ্ছেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ২জন বেকার যুবক ও যুবতীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। লালমনিরহাট জেলার ৪৫টি ইউনিয়নে ৯০জন উদ্যোক্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব বেকার যুবক-যুবতীকে সেন্টার থেকে আয়কত অর্থের বেতন-ভাতাদি দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে সাধারণ মানুষকে তথ্যসেবা প্রদানের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।