লালমনিরহাটে ৭১ এন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ আলাল গ্রুপ কর্তৃক কর্মচারীদের নামে মিথ্যা, মানহানিকর ও হয়রানিমূলক মামলা এবং খামারিদের জামানতের টাকা ও ফাঁকা চেক ফেরত না দেয়ার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী কর্মচারি ও খামারিবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় লালমনিরহাটের ভাটিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারী ও খামারিবৃন্দের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারী ও খামারিবৃন্দের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলএস মোঃ আকবর আলী প্রমুখ। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারী এলএস মোঃ জিয়াদুল ইসলাম, মোঃ রাকিবুল ইসলাম ও খামারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারী ও খামারিবৃন্দের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এলএস মোঃ আকবর আলী বলেন, আমি মোঃ আকবর আলী ৭১ এন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ (আলাল গ্রুপ) লালমনিরহাট ব্রাঞ্চ-এ কর্মরত ছিলাম। চাকুরীতে ঢোকার সময় আপনাদের সকলের নিকট হতে দুটি করে স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক জমা নেয়। আমরা সকলেই সততার সাথে কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী খামারিগণের নিকট হতে ফাঁকা চেক ও জামানতের টাকা জমা নিয়ে ব্রয়লার বাচ্চা ও খাদ্য প্রদান করিতাম এবং উক্ত মুরগীর মাংস বিক্রয় করে বিক্রিত টাকা যথাযথভাবে জমা দিতাম এবং ব্যাংক বন্ধ থাকলে স্বচ্ছতার নিমিত্তে টাকা ব্রাঞ্চ ইনচার্জ মঞ্জুর রহমানকে প্রদান করিতাম এবং তিনি ব্যাংক খোলার দিনে জমা দিতেন। যাহার তথ্য প্রমাণ লাইন ভিত্তিক সকল এলএস এর নিকট রয়েছে। কিন্তু কোম্পানীর অডিটর সুইচ মহোদয় ব্রাঞ্চের হিসাব অডিট করতে এলে ইনচার্জ হিসাব দিতে টালবাহানা শুরু করলে এজিএম হিসাব নিতে ব্রাঞ্চে আসেন এবং হিসাব নিকাশ নিয়ে চলে যান সেখানেও ইনচার্জ হিসাব দিতে গরিমসি করলে কর্তৃপক্ষ লালমনিরহাট ব্রাঞ্চ বন্ধ করে দেন এবং গত ১৩ মে ২০২৩ তারিখে আমাদেরকে ঢাকা কর্পোরেটদের কোটি টাকা ইনচার্জ মঞ্জুর রহমান কর্তৃক তসরুপ হয়েছে, যাহা আমরা জমা দেয়ার জন্য ইনচার্জকে চাপ দিব এবং জমা না দিলে কোম্পানী ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলা দিলে আমরা (এলএস) লাইন সুপার ভাইজারগণ স্বাক্ষী দিতে বাধ্য থাকবো মর্মে ১০০/- (একশত) টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত টাকার জন্য আমাদেরকে দায়ী করে বগুড়া জর্জ কোর্টে আকবর আলী নামে ৩৫.৩৮৩৫০/- টাকা রফিকুল নামে৫,০০,৫০০/- টাকা জিয়াদুল নামে ৩৫৯০৫০০/- টাকা আমরা আত্মসাত করি মর্মে মামলা দায়ের করে যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট, হয়রানিমূলক ও মানহানিকর। লালমনিরহাট ব্রাঞ্চে যদি কোন কোরাপশন হয়ে থাকে, তাহলে যে করেছে তিনি লালমনিরহাট ব্রাঞ্চ ইনচার্জ মঞ্জুরুল রহমান। আমরা লাইন সুপার ভাইজারগণ সম্পূর্ন নির্দোষ যাহা প্রমাণ হিসাবে আমাদের সকল খামারিগণ উপস্থিত থেকে স্বাক্ষী দিয়ে বলবেন।
অপরদিকে খামারিগণ কোম্পানীকে ১টি করে স্বাক্ষরিত ব্লাঙ্ক চেক ও বিভিন্ন অংকের টাকা জামানত হিসাবে জমা দেন উক্ত চেক ও জামানতের টাকা ফেরত না দিয়ে কোম্পানী টালবাহানা শুরু করেছে। এই সকল নিরীহ খামারিগণ ৭১ এন্টিগ্রেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রতারিত হয়ে সম্বল হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব। তাই আমরা খামারি ও কর্মচারীগণ প্রশাসন ও বিজ্ঞ আদালতের যথাযথ কর্তৃক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অবিলম্বে ৭১ ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ আলাল গ্রুপকে মিথ্যা মামলা প্রত্যহার ও খামারিগণের চেক ও জামানতের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আহবান করছি।
অতএব, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ আপনারা জাতির বিবেক। আপনাদের লেখার মাধ্যমে আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি বা মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি তাদেরকে সহায়তা করতে দেশবাসীকে ঘটনাটি জানাতে স্ব-স্ব গণমাধ্যমে প্রচার করে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন মর্মে বিশেষ অনুরোধ করছি। সেই সাথে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্থ কর্মচারী ও খামারিগণ ৭১ এন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ আলাল গ্রুপ কর্তৃক কর্মচারীদের নামে মিথ্যা মানহানিকর ও হয়রানি মুলক মামলা এবং খামারিদের জামানতের টাকা ও চেক ফরত না দেয়ার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী কর্মচারি সহ খামারি বৃন্দকে সার্বিক সহযোগিতা করিলে চীর কৃতজ্ঞ থাকিব।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.