লালমনিরহাটে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অফিসিয়ালীভাবে কাগজে থাকলেও বাস্তবে এর কোন সঠিক কার্যক্রম নেই।
এখানকার পরিবার কল্যাণ সহকারীদের গাফিলাতির কারণে দম্পতিরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ফলে আশানুরুপ হারে কমছে না লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার জনসংখ্যা।
জানা যায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পাশাপাশি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্থায়ী মহিলা বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি রয়েছে। এসব পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার গাফিলাতির মধ্য দিয়ে চলছে এ কার্যক্রম।
এছাড়াও অস্থায়ী কনডম, সুখী বড়ি ও ইনজেকশন পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ইউনিটে পরিবার কল্যাণ সহকারী দিয়ে চলছে এর কার্যক্রম।
নিয়মে বলা হয়েছে এসব পরিবার কল্যাণ সহকারীরা নিজ নিজ ইউনিটের এরিয়ার মধ্যে প্রতিটি দম্পতির কাছে অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কনডম, সুখী বড়ি ও ইনজেকশন পৌঁছে দেবেন। কিন্তু এসব পরিবার কল্যাণ সহকারীরা দায়সারা মাত্র হাতে গুনা দু-একটির নিকট এসব উপকরণ পৌঁছে দিলেও আর সব দম্পতিদের মিলে না কাঙ্ক্ষিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।