লালমনিরহাট জেলার চরাঞ্চলগুলোতে মানুষের দোরগোড়ায় এখন কমিনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে।
এক সময় তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি নদী, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীগুলোর দুর্গম চরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা বলতে কিছুই ছিলনা।
বর্তমানে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি নিশ্চিত হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা। গ্রামের পাশাপাশি চরেও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে।
লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে ১শত ৫৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা বর্তমানে মানুষের দোরগোড়ায়।
এখন আর ওঝা, ফকির, কবিরাজ, তাবিজ-কবজ ও পানি পড়ার ওপর প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নির্ভরশীল নয়৷
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিচর্যার সুবিধা পাচ্ছেন। এসব ক্লিনিকে বিনা খরচে প্রশিক্ষিত ধাত্রী দিয়েই স্বাভাবিক সস্তান প্রসব করানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই স্বাস্থ্যসেবা এখন একটি মডেল।
এ দুর্গম চরের নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর এবং গর্ভবর্তী মা এতোদিন বঞ্চিত ছিল স্বাস্থ্যসেবা থেকে। অপুষ্টিসহ সামান্য অসুখ-বিসুখে তারা অসহায় হয়ে পড়ত। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের প্রসবজনিত সমস্যা ছিল প্রকট। ফলে চরগুলোতে মা ও শিশুমৃত্যুর হার ছিল অনেক বেশি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চরের স্বাস্থ্যসেবার ধারণ পাল্টে দিয়েছে। এখন এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধমে প্রত্যন্ত গ্রাম ও দুর্গম চরেও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ঘটেছে।
প্রতিদিন শতশত গর্ভবতী, মা ও শিশু কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো হতে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। কমেছে মা ও শিশু মৃত্যুর হার।
১৯৯৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। তখন তিনি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প হিসেবে সরাসরি গ্রাম ও চরের নারীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেন।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলাতে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়।
প্রতি সপ্তাহ ও মাসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, ডিএমসিএইচ এ্যান্ড আইও কর্মকর্তা, এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎক। তারা কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনের পাশাপাশি একটু জটিল রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও সরকার বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে টিকাদান কর্মসূচীসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যগত প্রচার এ সব কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে করে থাকে। এভাবেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ করছে এবং অবদান রাখছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকে হাজার হাজার নারী ও পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩প্রকার ঔষধ বিনা পয়সায় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসারে বিতরণ করা হয়।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.